এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মহানামন্
ফেরফার কিছু নেই তো ভিতরে?—
সুড়ঙ্গে সংক্রম?—
ডুব দিয়ে কেউ দেখুক্ কি হ’ল,—
ফেরফার থাকে যদি
উচিত শাস্তি করিব বুড়ার,
রক্তে বহাব নদী।”
মনে মনে কয় মন্ত্রী—“তেমন
কিসে তার হবে সখে,
লোক কই আর?—রক্ত-তৃষা কি
মিটাবে অলক্তকে?”
(একাদশ হল্কা)
পল গণি’ গণি’ প্রহর কেটেছে,—
না রে আর দেরী নয়,
কোনো কৌশলে ফাঁকি দিয়ে বুড়া
পালায়েছে নিশ্চয়।
পাটলির জল তোলপাড় করে
কোশল-রাজের লোক,
মহানামনেরে পাক্ড়া করিতে
নাকে মুখে লাগে জোঁক।
পাঁক তোলে আর আঁকুবাঁকু করে,
ঢোকে ঢোকে জল খায়;
জলের তলায় কই সুড়ঙ্গ?
কই বুড়া কই? হায়!
সহসা ফুকারি’ কহিল জনেক
“না না পালায়নি কেহ,
৯৫