জাফ্রানিস্থান
যে দেশেতে চড়ুই-পাখীর চাইতে প্রচুর বুল্বুলি,
যেথায় করে কাকলি কাক নীবস নিজের বোল্ ভুলি’,
বারোমাসেই সরল ঘাসে সবুজ যেথা ঘরের চাল,
চালে চালে ফুলেব ফসল চুম্কী-চমক নিত্যকাল,
ভূর্জ্জপাতার ঠোঙায় যেথা আঙুর বেচে সুন্দরী,
হাজার হাজার হৈমবতী বেড়ায় যেথা রূপ ধরি’,
পথে ঘাটে রূপ-শতদল পাপ্ড়ি যেথা ছড়িয়েছে,
গিরিরাজের বুকের পাঁজর আলোক-লতায় জড়িয়েছে,
কোমল-কঠিন মিল্ছে যেথায় আঙুরে আর আখ্রোটে,
ভূঁই-চাঁপারি সই-স্যাঙাতি জাফ্রানে নীল ফুল ফোটে,
শৈল-শ্লেটে অলখ্ আঙুল যেথায় দাগা বুলিয়ে যায়,
বলাকা-বকফুলের মালা বিনি-সূতায় দুলিয়ে যায়,
পাহাড়-কোলের ফাঁকগুলি সব যেথায় তরল-সুর ভরা—
দিকে দিকে নূপুর-পায়ে নাম্ছে ঝোরা স্রগ্ধরা,
হাওয়া যেথা মেওয়ার সামিল, মেওয়া সে অফুরন্ত,
এক্লা ঝিলম্ একশো যেথা, শান্ত এবং দুরন্ত!
যেথায় লুকায়—মন্ত্রে যেন—ক্লান্তি যত কায়-মনের,
চিড়্-খাওয়া হাড় হয় সে তাজা বাতাস লেগে চীড়-বনের,
বনে ফোটে বনপ্য ফুল, পদ্ম ফোটে পল্বলে,
ধূপের গন্ধে আমোদ করে ধূপী-বনের জঙ্গলে,
ফল্সা চেয়ে আঙুর সুলভ, ফুলের জল্সা রোজ দিনই,
ঝাঁকে ঝাঁকে গুলাব ফোটে, ফোটে গুলেল্ য়োস্মিনী,