পাতা:বিদায় ভোজ - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদায় ভোজ।
৩১

ছাড়িলাম না। অবশেষে আমাকে লইয়া বাড়ীর বাহির হইল এবং নিকটস্থ একখানি দ্বিতল অট্টালিকাতে প্রবেশ করিল।

 বাড়ীতে প্রবেশ করিয়াই বুঝিলাম, সেখানি হোটেল, দশ পনের জন লোক তথায় বাস করিতেছে। ব্রজেন্দ্র আমাকে দ্বিতলে লইয়া গেল। পরে একটী গৃহের ভিতরে প্রবেশ করিল এবং একজনকে দেখাইয়া দিল।

 ব্রজেন্দ্র যাহাকে দেখাইয়া দিল, তাহাকে দেখিয়া আমি চমকিত হইলাম। লোকটা আমার পরিচিত—একজন দাগী চোর। সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, আমি তখন ছদ্মবেশে ছিলাম বলিয়া সে আমাকে চিনিতে পারিল না। আমিও অন্য কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া একেবারে তাহাকে গ্রেপ্তার করিলাম। পরে জিজ্ঞাসা করিলাম, এই আংটী তুমি ব্রজেন্দ্রকে বিক্রয় করিতে দিয়াছিলে?

 লোকটার বয়স প্রায় ত্রিশ বৎসর, দেখিতে বেশ সুপুরুষ। বাহ্যিক অবয়ব দেখিলে সকলে তাহাকে ধনবান বলিয়া মনে করিয়া থাকে। আমার কথায় সে উত্তর দিবার পূর্ব্বেই ব্রজেন্দ্র উপযাচক হইয়া বলিল, ইহারই আংটী—উপযুক্ত মূল্য দিলেই আংটীটা কিনিতে পারিবেন।

 আমি। তোমার নাম কি?

 সে বলিল, “আমার নাম বসন্তকুমার দত্ত।”

 আ। আংটীটা কোথায় পাইয়াছিলে?

 ব। বিবাহের যৌতুক স্বরূপ পাইয়াছিলাম।

 আমি তখন বসন্তের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “আংটীটা কোথায় পাইয়াছ যদি সত্য করিয়া বল, তাহা হইলে তোমায় এ