পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

জমীদার হইয়া নায়েব কারকুনে পরিবেষ্টিত কাছারি বাটীর মধ্যে সেই চটী যুতা ও থান চাদর ব্যবহার করিতেন তাহা হইলে বরং তাঁহার অহঙ্কার বা অভিমানের কথা উঠিতে পারিত। তাঁহার বাকি আচার ব্যবহার থান চাদর ও চটী যুতার সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়াছে, সুতরাং তাহাতে অভিমান বা অহঙ্কারের কিছুমাত্র কথা নাই। স্বর্গীয় বিদ্যাসাগর মহাশয় একজন প্রকৃত মনীষী ছিলেন। তাহার সে কথায় ভুল হইবার নহে। ভুল হয় আমাদের ন্যায় স্থুল বুদ্ধি লোকের। কখন মনে হয়, হয়ত খুব সরলতা দেখাইলেই লোকে ভাল বলিবে, আমাকে ভাল দেখাইবে। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম রক্ষণ করে কে? আমি যাহা, তাহা অপেক্ষা একটু ছোট বড় সাজিতে গেলেই সাজ ধরা পড়ে, কাকের ময়ুর পুচ্ছ খসিয়া পড়ে। তাইবলি আমার সামান্য বিবেচনায় যিনি যেমন লোক তাঁহার তেমনি চলাই ভাল, জোর জবরদস্তি করিয়া বেশ ভূষার আড়ম্বরও যেমন দূষণীয়, জোর জবরদস্তি করিয়া বেশ