মহাশয় আনুপূর্ব্বিক সমস্ত ঘটনা বিবৃত করিয়া বলিলেন “কার সাহেব একজন বিলাতী শিক্ষক, সম্রান্ত ভদ্রলোক, তাঁহার নিকট হইতে দৃষ্টান্ত দ্বারা যে সদাচার শিক্ষা পাইয়াছি আমি ঠিক তাহারই অনুকরণ করিয়াছি, তবে তফাতের মধ্যে সাহেবের পায়ে ছিল বিলাতি বুট আর আমার পায়ে তালতলার চটী। সেই যা পৃথক।” কর্তৃপক্ষগণ এই বিষয়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট কৈফিয়ত তলব করেন তাহাতে তিনি উপরিউক্ত মর্ম্মেই জবাব দেন। উক্ত দত্তজ মহাশয় যখন এই ব্যাপার গইয়া বড়ই বিরক্তি প্রকাশ করেন, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজ মূর্ত্তি ধারণ করলেন, বলিলেন “আমি চাকরি গ্রাহ্য করি না, আমার চাকরি যায় তাহাতে আমার ভয় ও নাই, ভবনাও নাই, আমি বামুনের ছেলে আমার ভাবনা কি? ভাবনা আপনাদের আপনার ভাবুন।” দওজ মহাশয় দেখিলেন এ বড় সহজ বামুনের ছেলেনয়, চাকরি গ্রাহ্য করে না, উপরওয়ালাকে অন্যায় ভয় করে না, পয়সার মায়া করে না, মর্য্যাদা
পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
২৭