পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

লইয়াই নিজের নামটি কাটিয়া দিলেন। সাহেবকে বলিলেন “আমার অনুরোধ আপনি রাগ করিবেন না। আপনি অনুরোধ রক্ষা করিবেন প্রতিশ্রুত হইয়াছেন, আর সাহেবলোক একবার প্রতিশ্রুত হইলে তাহা কোন মতে প্রত্যাহার করেন না। কাজেই আমাকে আর কিছু বলিবেন না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নাম কাটা হইয়া গেল। অপর একটা কথা। যখন পণ্ডিতগণের সম্মানার্থ মহামহোপাধ্যায় উপাধির সৃষ্টি হয়, তখন জনৈক সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী বিদ্যাসাগর মহাশয় উক্ত উপাধি গ্রহণ করিতে ইচ্ছুক কি না জানিতে যান। বিদ্যাসাগর মহাশয় অতি বিনীত ভাবে, মহাত্মার উপযুক্ত নম্রতার সহিত বলিলেন “এত বড় উপাধির কি আমি যোগ্য?” বাস্তবিকই তাঁহার ধারণা যে তাঁহাকে মহামহোপাধ্যায় উপাধি দিলে উপাধির মর্যাদ্যা রক্ষা হইবে না। তিনি রাজি হইলেন না। তাঁহাকে মহামহোপাধ্যায় উপাধি দেওয়া হইব না। তাতে তিনি বড়ই সন্তুষ্ট ছিলেন।