পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
বিদ্যাসাগর—প্রবন্ধ

চুপ করিয়া রহিলেন। পর দিন ছোট আদালতে যাইয়া মকদ্দমার সমস্ত বৃত্তান্ত জানিলেন এবং দাবির সমস্ত টাকা আয় খরচা জমা করিয়াদিলেন। মকদ্দমার দিন সকলেই অবাক্‌। উত্তমর্ণ অধমর্ণ উভয়েই বিস্মিত, কে টাকা জমা দিল। আদালতের বিচারাসনে আসীন হাকিম হইতে অর্থী প্রত্যর্থির শোণিত লোলুপ পেয়াদা পর্য্যন্ত কেহই জানিতে পারিল না, কে টাকা দিল। সকলেই আশ্চর্য্যান্বিত। কিন্তু ধর্ম্মের ঢাক আপনিই বাজে। কালে সকলেই টের পাইলেন যে এই সাক্ষাত দয়াবতার, কারুণ্যের মূর্ত্তিমান্ দেবতা, বিপদাপন্নের একমাত্র সহায় বিদ্যাসাগর মহাশয় গরিব ব্রাহ্মণকে এই দুস্তর ঋণদায় হইতে উদ্ধার করিয়াছেন। এই একটা ঘটনার কথা বলিলাম মাত্র। তাঁহার দানের দৃষ্টান্ত না দেওয়াই ভাল, কারণ তাঁহার নিকট, তাঁহার স্মৃতির নিকট, তাঁহার আত্মীয়গণের নিকট,তাঁহার ভক্তগণের নিকট অপরাধী হইতে হইবে। ভক্ত ভগবানকে বলিয়াছিলেন, প্রভো, আমার তিনটী অপরাধ ক্ষমা কর।