বিদ্যাসাগরের আর একটি বড় গুণ ছিল। তিনি পরের উপর নির্ভর করিয়া থাকিতেন না, সকল কাজ নিজে দেখিতেন। তিনি অনেক সময় বিদ্যালয়ে হঠাৎ উপস্থিত হইয়া দেখিতেন নিয়ম-মত কাজ চলিতেছে কি-না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আদেশ ছিল, শিক্ষকেরা কখনও বালকদের উপর শারীরিক শাস্তি বিধান করিতে পারিবেন না। তিনি বলিতেন, শান্ত সদয় ব্যবহারের দ্বারা ছাত্রদের দোষ সংশোধন করিতে চেষ্টা করা উচিত। যাহাকে সংশোধনের অতীত বলিয়া বোধ হইত, তেমন ছাত্রকে তিনি বিদ্যালয় হইতে বিতাড়িত করিতেন।
বাক্ল্যাণ্ড সাহেব ভারত-সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্ম্মচারী ছিলেন। তিনি তাঁহার পুস্তকে লিখিয়াছেন,—
যে জমির উপর এখন কলেজটি অবস্থিত, ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে তাহা কেনা হয়। সুবৃহৎ বিদ্যালয়-গৃহ নির্মাণ করিতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বায় হইয়াছে। ১৮৮৭ সালের গোড়া হইতেই এখানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত হয়।
গ্রন্থ-রচনা
বিদ্যাসাগর অনেকগুলি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। তাহার মধ্যে দু-চারখানির কথা বাদ দিলে বাকী সমস্তই অনুবাদ, অনুসৃতি বা