|d আলোচনা করিয়াছেন। আমরা স্থানাভাবে সম্পূর্ণ ভূমিকাগুলি মুদ্রিত করিতে পারি নুই বলিয়া এখানে সংক্ষেপে র্তাহার মূল বক্তব্য উদ্ধত করিতেছি। i ঋজুপাঠ। প্রথম ভাগ ...ইহাতে পঞ্চতন্ত্রের কয়েকটি উপাখ্যান উদ্ধৃত হইয়াছে। পঞ্চতন্ত্রের রচনাপ্রণালী দুষ্টে স্পষ্ট বোধ হয়, ইহা অতি প্রাচীন গ্রন্থ । প্রাচীন বলিয়। ইহার রচনা অতি সরল। সংস্কৃত ভাষায় এরূপ সরল গ্রন্থ প্রায় দৃষ্টিগোচর হয় না।...কিন্তু, মধ্যে মধ্যে অনেক দীর্ঘ সমাস আছে, অনেক অসার ও অসমৃদ্ধ কথা আছে, এবং কয়েকটি অতি অশ্লীল উপাখ্যান আছে। ইহাতে, অধুনাতন গ্রন্থেব ন্যায়, রচনার মাধুৰ্য্য নাই, কথাযোজনার চাতুৰ্য্য নাই .এরূপ গ্রন্থ আদ্যস্ত পাঠ করা অনাবশ্বক ও অবিধেয় বোধ হওয়াতে কয়েকটি উপাখ্যানমাত্র পরিগৃহীত হইল। কলিকাতা । সংস্কৃত কলেজ। ১লা অগ্রহায়ণ | সংবং ১৯০৮ । ঋজুপাঠ। দ্বিতীয় ভাগ ঋজুপাঠের দ্বিতীয় ভাগ রামায়ণ হইতে সংগৃহীত হইল। রচনাপ্রণালী দৃষ্টে স্পষ্ট প্রতীতি জন্মে, রামায়ণ অতি প্রাচীন গ্রন্থ । এই প্রাচীন গ্রন্থ মহর্মিবাল্মীকি প্রণীত বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে । কোন কোন আলঙ্কারিকের রামায়ণকে মহাকাব্যমধ্যে গণনা করিয়া থাকেন । কিন্তু তাহার তাদৃশ কাব্যের যে সকল লক্ষণ নির্দেশ করিয়াছেন, তৎসমুদয় কালিদাসাদিপ্রণীত রঘুবংশাদি অপেক্ষাকৃত নব্য কাব্যগ্রন্থসমূহে যেরূপ লক্ষিত হয়, প্রাচীন কাব্য রামায়ণে সেরূপ লক্ষিত হয় না। বাল্মীকিকাব্যে পোনরুক্ত, প্রাসঙ্গিক বিষয়ের অতি বিস্তৃত বর্ণনা প্রভৃতি কতিপয় গুরুতর দোষ আছে । যাচ। হউক, অনায়াসে এই নির্দেশ করা যাইতে পারে, সংস্কৃত ভাষায় এরূপ প্রাঞ্চল ও প্রসাদ গুণবিশিষ্ট পদ্য গ্রন্থ আর নাই । রামায়ণের মধ্যে অযোধ্যাকাণ্ডের রচনা যেরূপ চমৎকারিণী ও চিত্তহারিণী, অন্যান্য কাণ্ডের রচনা সেরূপ নহে । এই নিমিত্ত ঋজুপাঠের দ্বিতীয় ভাগে অযোধ্যাকাণ্ডের কতিপয় উৎকৃষ্ট অংশ সঙ্কলিত হইল ।. কলিকাতা । সংস্কৃত কলেজ । ২২এ ফাল্গুন । সংবং ১৯০৮ । ঋজুপাঠ। ভাগ ঋজপাঠের তৃতীয় ভাগ হিতোপদেশ, বিষ্ণুপুরাণ, মহাভারত, ভটিকাব্য, ঋতুসংহার ও বেণীসংহার এই কয়েক গ্রন্থ হইতে সংগৃহীত হইল।--হিতোপদেশ পঞ্চতন্ত্রের প্রতিরূপস্বরূপ ।
পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।