পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८दां८थांलग्न-छेस्टुिल ১৮৭ দেবদারু জাতীয় এক প্রকার বৃক্ষ, তিন শত হস্তেরও অধিক উচ্চ হইয়া থাকে। ভূমি হইতে ত্রিশ পয়ত্রিশ হাত পৰ্য্যন্ত তাহার কোনও শাখা প্রশাখা থাকে না ; অতএব তাহার গুড়িই ত্রিতল গৃহের অপেক্ষ৷ উচ্চ । আমাদের দেশেও শাল, বট প্রভূতি নানাবিধ প্রকাণ্ড বৃক্ষ আছে। বটবৃক্ষ তাদৃশ উচ্চ ন হইলেও, আয়তনে অতি বৃহৎ হইয়া থাকে। গুজরাট প্রদেশে একটি বটবৃক্ষ ছিল ; তিন চারি সহস্ৰ লোক তাহার ছায়ায় বিশ্রাম করিতে পারিত। এক দিকে যেরূপ বৃহদাকার বৃক্ষ আছে, অপর দিকে সেইরূপ ক্ষুদ্রাকৃতি উদ্ভিদও দেখিতে পাওয়া যায়। ছত্রক বা কোড়ক জাতীয় কোনও কোনও উদ্ভিদ এত ক্ষুদ্র যে, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ব্যতিরেকে দৃষ্টিগোচর হয় না। বর্ষাকালে পুস্তকে যে ছাত। পড়ে, তাহা এই জাতীয় উদ্ভিদ । কোনও কোনও কোড়ক অপেক্ষাকৃত বৃহৎ হয় ; উহাদিগকে বেঙের ছাতা বলে । আম, কাটাল, জাম, আতা, পিয়ার, বাদাম, দাড়িম ইত্যাদি নানাবিধ মিষ্ট ও সুস্বাদ ফল বৃক্ষে জন্মে। যেখানে এই সকল ফলের বৃক্ষ অনেক থাকে, তাহাকে উদ্যান বলে । যেখানে বহু পুষ্পবৃক্ষ রোপণ করা যায়, তাহাকে পুষ্পোদ্যান কহে । কতকগুলি বৃক্ষের ছালে আমাদের অনেক উপকার হয় । স্পেন দেশে কর্ক নামে এক প্রকার বৃক্ষ জন্মে। উহার বল্কল এরূপ স্থল, কোমল ও রন্ধ্রশূন্ত যে তদ্বারা শিশি, বোতল প্রভৃতির ছিপি নিৰ্ম্মিত হয় । আমেরিকার পেরু প্রদেশস্থ সিঙ্কোন নামক বৃক্ষের ত্বক সিদ্ধ করিলে যে কাৰ্থ হয়, তাহ হইতে কুইনাইন উৎপন্ন হয়। ইদানীং দাজ্জিলিঙ, অঞ্চলে সিঙ্কোনার চাষ হইতেছে । পাট ও শণ গাছের ছালের তন্তু হইতে চট্ট রজ্জ্ব প্রভৃতি প্রস্তুত হয় ; তিসির ছাল হইতে যে সূক্ষ্ম তন্তু বাহির হয়, তাহাতে লিনেন, কেম্বিক ইত্যাদি উৎকৃষ্ট বস্ত্রের বয়ন হইয়া থাকে । অসুখের সময়, রোগীকে যে এরোরুট পথ্য দেওয়া হয়, তাহ। হরিদ্রাজাতীয় এক প্রকার বৃক্ষের মূল হইতে উৎপন্ন। কোনও কোনও বৃক্ষের মূলদেশে কচুর হ্যায় এক প্রকার পদার্থ জন্মে, ঐ পদার্থকে কন্দ বলে ; যেমন আলু, পলাণ্ডু, ওল, মানকচু, শালগম ইত্যাদি। অনেকে প্রাতঃকালে ও সায়াহ্নে, চা খাইয়া থাকেন। ঐ চা, এক প্রকার গুল্মের শুষ্ক পত্র কিয়ৎক্ষণ উষ্ণ জলে রাখিয়া দিলে, প্রস্তুত হয়। চীন, জাপান, আসাম, দাৰ্জিলিঙ, প্রভৃতি দেশে প্রচুর পরিমাণে, ঐ গুলোর চাষ হইয়া থাকে। বঙ্গদেশের অনেক স্থানে নীলের চাষ হয়। উহার গাছ জলে পচাইলে, এক প্রকার নীলবর্ণ পদার্থ বাহির হয় ; ঐ পদার্থ পৃথক্ করিয়া লইয়। শুষ্ক করিলেই, নীলবড়ি উৎপন্ন হইয়া থাকে।