পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/২২১

উপক্রমণিকা বর্ণমালা ১। অ ই উ, ক খ গ ইত্যাদি এক একটকে বর্ণ ও অক্ষর বলে। বর্ণ সমুদায়ে পঞ্চাশট। তন্মধ্যে ষোলটা স্বর, চৌত্ৰিশটা হল। এই পঞ্চাশটা অক্ষরকে বর্ণমালা বলে। স্বরবর্ণ ২ । অ আ ই ঈ উ উ ঋ ঋ ৯৯ এ ঐ ও ঔ অং অঃ। এই ষোলট স্বর। ইহার মধ্যে অ ই উ ঋ ৯ এই পাঁচটা হ্রস্ব । আ ঈ উ ঋ ৯ এ ঐ ও ঔ এই নয়ট দীর্ঘ। অবশিষ্ট দুইটার মধ্যে প্রথমকারটা অনুস্বার শেষেরটা বিসর্গ। এক বিন্দু অর্থাৎ • ইহার নাম অনুস্বার ; দুই বিন্দু অর্থাৎ ; ইহার নাম বিসর্গ। অন্য স্বর বর্ণের সহিত যোগ না করিলে অনুস্বার ও বিসর্গ এই দুয়ের উচ্চারণ হয় না ; এই নিমিত্ত অকারের সহিত যোগ করিয়া লিখিত হইয়াছে। ठूल् दsf ৩ । ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল ব, শ ষ স হ, ক্ষ। এই চৌত্ৰিশট হল। তন্মধ্যে ক খ গ ঘ ঙ, কবর্গ ; চ ছ জ ঝ ঞ, চবৰ্গ ; ট ঠ ড ঢ ণ, টবর্গ ; ত থ দ ধ ন, তবর্গ ; প ফ ব ভ ম, পবর্গ। য র ল ব শ ষ স হ, ক্ষ এই নয় বর্ণের বর্গ বিভাগ নাই। তন্মধ্যে য র ল ব ইহাদিগকে অন্তস্থ বর্ণ বলে । শ ষ স হ ইহাদের নাম উষ্মবর্ণ। ক আর মূৰ্দ্ধন্য য এই দুই বর্ণে মিলিত হইয় ক্ষ হয় ; এই নিমিত্ত অনেকে ইহাকে স্বতন্ত্র বর্ণ বলিয়া গণনা করে না । ৪। অগ্ৰে কিম্বা পরে এক স্বর না থাকিলে হল বর্ণের উচ্চারণ হয় না। যথা ইক। পূর্বে ই আছে বলিয়া ক উচ্চারণ করা গেল। অথবা পরে ই থাকিলেও ক্‌ উচ্চারণ করা যায়; যথা কি। এইরূপ ঋক্, কু। যখন হল বর্ণ স্বরের সহিত মিলিত না