পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/৬৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংস্কৃতভাষা ও সংস্কৃতসাহিতশাস্ত্রবিযয়ক প্রস্তাব ৬২৫ কোষকাব্য পরস্পরনিরেপক্ষ শ্লোকসমূহকে কোষকাব্য বলে । অমরুশতক সংস্কৃত ভাষায় যত কোষকাব্য আছে তন্মধ্যে অমরুশতক সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । এই শতশ্লোকাত্মক কাব্যের রচনা অতি উত্তম । রচনা দেখিয়া স্পষ্ট বোধ হয়, ইহ। প্রাচীন গ্রন্থ । এই কাব্যে অসাধারণ কবিত্বশক্তি প্রদর্শিত হইয়াছে। কালিদাসের গ্রন্থ পাঠ করিলে, অন্তঃকরণে যেরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় আহলাদের সঞ্চার হয়, অমরুশতকের পাঠেও তদনুরূপ হইয় থাকে । অমরু যে এক জন অতি প্রধান কবি ছিলেন, তাহার কোন সংশয় নাই । অমরু অধিক লিখিয়া যাইতে পারেন নাই, যথার্থ বটে ; কিন্তু যাহা লিখিয়া গিয়াছেন, তাহতেই তাহার প্রধান কবি বলিয়া চিরস্মরণীয় হইবার সম্পূর্ণ সংস্থান হইয়াছে। অমরুশতক আদিরসাত্রিত কাব্য ; কিন্তু এক টীকাকার, প্রথমতঃ আদিরস পক্ষে ব্যাখা করিয়া, পক্ষান্তরে শান্তিরসাঞ্জিত করিয়া ব্যাখা করিয়াছেন। টীকাকার, অমরুশতকের শান্তি পক্ষে ব্যাখা করিতে উদ্যত হইয়, কেবল উপহাসাম্পদ হইয়াছেন । তাহার দুর্ভাগ্যক্রমে এক শ্লোকেরও শান্তি পক্ষে সম্যক অর্থসমাবেশ হইয় উঠে নাই । শান্তিশতক এই শান্তরসাঞ্জিত শতক কাব্য শিহুলণপ্রণীত । শিহলণ উত্তম কবি ছিলেন ; এবং অর্থলাভার্থে পরোপাসনা, লোভ, বিষয়াসঙ্গ ইত্যাদির নিন্দ, এবং বিষয়ের অনিত্যতাপ্রতিপাদন ও যদৃচ্ছালাভসন্তোষ প্রভৃতির, স্বীয় শতকে সৎকবির ন্যায় বর্ণন করিয়াছেন । শান্তিশতকের রচনা উত্তম । সমুদায় পৰ্য্যালোচনা করিলে শান্তিশতক উৎকৃষ্ট কাব্য। নীতিশতক, শৃঙ্গারশতক, বৈরাগ্যশতক নীতিশতকে নানা স্থনীতির উপদেশ আছে। শৃঙ্গারশতকের সমুদায় শ্লোক আদিরসাশিত। বৈরাগ্যশতক সৰ্ব্বাংশে শান্তিশতকের তুল্য। তিনের মধ্যে নীতিশতক সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । এই তিন শতকের রচয়িতার নাম ভর্তৃহরি। ভর্তৃহরির রচনাও উত্তম এবং Գ>