৷৴৹
অবস্থা ছিল, তাহা! আলোচনা করিয়া দেখিলে এই ভাষাগঠনে বিগ্কানাগরের শিল্পপপ্রতিভা ও হহিক্ষমতার প্রচুর পরিচয় পাওষা যায়।
বি্ভাসাগর-রন্থাবলীর সাহিত্য-খণ্ডে যে পুস্তকগুলি মুদ্রিত হইয়াছে, তাহার মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের সকল উক্তির প্রমাণ মিলিবে। বাঙ্গাল। গছ-সাহিত্যের বিগত ছুই শত বংসরের ইতিহাস খাটিয়! এ কথ! আজ নিঃসংশয়ে আমাদের স্বীকার করিতে হইবে যে, বাঙ্গালা গগ্ে প্রতিভার প্রথগ স্কুরণ__বিদ্যাসাগর। বিভিন্ন বাঙ্গালা শব্দের পরস্পর সমাবেশে অভিধানগত অর্থ ব্যতিরেকে যে আর একটা অবর্ণনীয় রসের সৃষ্টি হইতে পরে, এই অপুব সত্য তিনিই সবপ্রথম মনে মনে অনুভব করিয়া, লেখনীমুখে তাহার সম্ভাবনাও তাহার স্বদেশবানীকে দেখাইতে সমর্থ হইয়াছেন, এবং তাহার ফলেই শক্কাব্দী- পাদের মধ্যেই বঙ্কিমচন্দ্র এবং অ্ধ-শতাব্দীর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাব সম্ভব হইয়াছে | ভাষা-সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় কখনও গতানুগতিক ও প্রাচীনপন্থী ছিলেন না, বরং ভাষা সম্বন্ধে তাহাকে প্রগতিশীল বলা যাইতে পারে। সময় ও শিক্ষার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তিনি সুবিধা পাইলেই ভাষার পরিবত'ন ও মার্জনা সাধন করিতেন। তাহার জীবিত-কালেই তাহার রচিত পুণ্ুকগুলির প্রায় প্রত্যোকটার অনেকগুলি করিয়া সংস্করণ হয়। প্রত্যেক সংস্করণে তিনি কিছু-না-কিছু সংস্কার করিয়াছেন । তাঁহার এই সংস্কীর- কামী মনের বিশেষ পরিচয় পাওয়া ঘায় তাহার বিরাম-চিহ্ন প্রয়োগের ক্রম-বাহুলুমু দেখিয়।। তাহার প্রথম মুদ্রিত পুস্তক “ব্তালপঞ্চবিংশতি' ১৮৪৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় এই গ্রন্থে দীড়ি ছাড়া অন্য কোনও বিরাম-চিহ্ের প্রয়োগ নাই। কিন্তু যত দিন যাইতে থাকে, তিনি অন্কুভব করেন যে, রচনা সহজ-বোধ্য করিতে হইলে সকলবিধ বিরাম-চিহ্ছের বছল-প্রয়োগ আবশ্যক ; এ বিষয়ে তিনি উনবিংশ শতকের ইংরেজ লেখকদের অন্থুদরণ করিয়া চলিবার চেষ্টা করিতেন । আমরা “বতালপঞ্চবিংশতি'র প্রথম ও সপ্তম সংস্করণের ও প্রস্ত্রত গ্রস্থাবলীতে অনুস্থত শেষ সংস্করণের একই অংশ উদ্ধত করিয়া, বিদ্যাসাগরের ভাঁষা-সংস্কীর ও ব্রাম-চিন্চ প্রয়োগ বিষয়ে মনোবৃত্তির প্রমাণ দিতেছি | কিন্থু মাথি তোমাকে আসন্ধ মুত্া হইতে নাচাইতেছি । যাহা কহি অবহিত হইয়া শবণ কর! এবং তদ্মুপারে কাগা করিলে দীর্ঘ জীবী হইয়। নিকুদ্দেগে অখণ্ড ভূমগ্ডুলে একাপিপত্য করিতে পারিবে | তখন ভূপতি বিশ্মিত ও ব্যগ্রচিত্ত হইয়া তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন। যঙ্গ্ গণ মধো স্যরি পরিহার পৃর্জাক বিক্রমাদিত্যকে সম্বোধন করিয়া অভিপ্রেত উপাধ্যানের উপক্রম করিল ।--১ম সংস্করণ, ১৮৪৭, পূ. ৫-৬।
