৷৷৹
প্রকৃতি, লইয়া এখন ধাহারা গবেষণা করেন, তাহাদের প্রত্যেকেরই বিস্ময়ের উদ্রেক করে। বিদ্যাসাগর স্বয়ং যে এই পরীক্ষায় উত্রীর্ণ হইয়াছিলেন তাহার প্রমাঁণ__এই অন্তমিহিত ছন্দোগুণের জোরেই.সে যুগের অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে ভাহার রুচনাগুলিই মাত্র স্থায়ী দাহিত্যে স্থান পাইয়াছে। এই গুণ বিশ্লেষণ করিবার জন্য আমি নৃতন করিয়া তাহার রচনাগুলির আলোচনা৷ করিব না ।
“সর্বজনবিদিত ও সর্বজন-আরাধা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কীতি ও জীবনী সম্বন্ধে নৃতন পরিচয়পত্র রচনার প্রয়োজন নাই । পরিশেষে, রবীন্দ্রনাথের স্থপরিচিত প্রশস্ভিরই পুনরাবৃত্তি করিয়া, প্রসঙ্গ শেষ করিতেছি
আজ আমরা বিছ্যাসাগরকে ফেবল বিদ্। ও দয়ার আধার বলিয়া জানি, এই বৃহৎ পৃথ্ধিবীর সংক্বে আনিয়া যতই আগর। মানুষ হইয়। উঠিবঝ, যতই আম্রা পুরুষের মৃত দুর্গষ- বিস্তীর্ণ কণ্মক্ষেত্রে অগ্রসর হইতে থাকিব, বিচিত্র শৌধা-বীধ্য-মহাবের সহিত ঘতই আমাদের প্রত্যক্ষ সপ্নিভিতভাবে পরিচয় ভইবে, তাতই সামর। নিঙ্গের অগ্থরের মাধ অনুভব করিতে থাকিব যে, দয়া নহে, বিষ্যা নে, ঈশরচন্দ্র বি্যালাগরের চরিত্রে গুধান গৌরব তীহার অজের পৌরুষ, তাহার অক্ষয় মচখ়ন্ড এবং ঘতই তাহা অস্তভব করিব, ততই আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ ও বিধাতার উদ্দেশ্ঠ সফল হইবে, এবং বিদ্যাসাগরের চবিত্র বাঙালীর জাতীয় জীবনে চিরদিনের জন্ত গ্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিবে ।
সম্পাদক-সংঘের মুখপাত্র-স্বরূপ বিদ্যাসাগর সম্বন্ধে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করিলাম ; কিন্তু প্রসঙ্গতঃ এই গ্রন্থাবলী প্রকাশ বিষয়ে আর ছুই একটী কথা না! বলিলে, আমার কাব্য অসমাপ্ত থাকিবে ।
বিদ্যাসাগর-স্মৃতি-সমিতি এবং বিশেৰ করিয়া সমিতির পক্ষে শ্রীযুক্ত বিন্য়রঞ্জন সেন, আই-সি-এস, গ্রন্থাবলী-প্রকাশে যে উৎসাহ ও উদ্যম দেখাইয়াছেন তাহা। বিশেষ প্রশংসনীয়, এবং এ যুগে সাতিশয় ছুর্লভ। মহতের প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের আছে, কিন্তু সে শ্রদ্ধ। প্রকাশের উৎসাহ নাই, কিছু করিবার উদ্যম নাই । ঝাড়গ্রাম-রাজ কুমার শ্রীযুত নরসিংহ সল্পদেব, বি-এ, গ্রস্থাবলী-প্রকাশের বিপুল ব্যয়ভার বহন করিয়া যে মহৎ-প্রাথতা প্রদর্শন কুরিয়াছেন, তাহার পক্ষে তাহ স্বাভাবিক হইলেও আমর! বাঙ্গালা দেশে এ যুগে আশ্চ্যাস্থিত না হইয়া পারি না। অর্থ এখন অনর্থেরই স্থষ্টি করে, মহৎ কীতির প্রতিষ্ঠর ৃদয়াবেগ ব্তমানে ছুর্লভ। সমিতির সভ্যদদের উৎসাহ ও উদ্যমের সহিত ঝাড়গ্রাম- রাজের মহানুভবতা সম্মিলিত হইয়। আজ যে কীততি প্রতিষ্ঠা করিল তাহাকে জাতীফ কীতি বলিয়। ঘোষণ। করিতে আমি আনন্দ বৌধ করিতেছি ।