পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সংস্কৃত রচনা।
১০৯

গর্জন ভৃশং তত ইতঃ সততং বৃথা কিং
নো লজ্জসে জলন্ধ পান্থনিতান্তশত্রো।
আস্তে হি নান্যগতিচাতকপোতচঞ্চু-
সম্পূরণেইপি বত যস্য ন শক্তিযোগঃ॥৯॥

কবি-প্রতিভা।

জীমূতচাতকগণং নমু বঞ্চয়িত্বা
মা মুঞ্চ বারি সরসীসরিদর্ণবেষু।
কং বা গুণং শিরসি সংস্তুততৈললেপে
তৈলপ্রদানবিধিনা লভতেইত্র লোকঃ॥ ১০॥

 কবিতায় কি সুন্দর স্বভাব বর্ণন! কি মনোহর অলঙ্কারবিন্যাস! কি সরল সরস রচনা-কৌশল! বিদ্যাসাগর কবি বলিয়া পরিচিত নহেন; কিন্তু কেবল এই একটীমাত্র কবিতা পাঠে বলিতে পারি,—বিদ্যাসাগর স্বভাব কবি! বাল-কবির কি অপূর্ব্ব প্রতিভা! বাল্যকালে বঙ্কিমচন্দ্রও বাঙ্গালায় “বর্ষার মানভঞ্জন” নামে একটী কবিতা লিখিয়াছিলেন।[১] ঈশ্বরচন্দ্রের কবিতায় যেমন প্রথমে মেঘের স্বভাব-বর্ণন, পরে বিরহিণীর বিরহ-ব্যঞ্জন: বঙ্কিমচন্ত্রের কবিতাতেও তেমনই প্রথমে বর্ষার স্বভাববর্ণন, পরে মানিনীর মানভঞ্জন।উভয়ই পূর্ণ কবিত্বময়। বাল্যে উভয়ই কবি। উত্তরকালে উভয়েই সাহিত্য-পুষ্টির উত্তরসাধক। তবে পথ ও প্রণালী স্বতন্ত্র।

  1. ১৩০১ সালের শ্রাবণ মাসের সাহিত্য। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দোহিত্র শ্রীযুক্ত সুরেশ্চন্দ্র সমাজপতি কর্তৃক সম্পাদিত মাসিক পত্র।