পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মহাভারতের অনুবাদ।
১২৭

কোন কালে কুলপতি শৌনক নৈমিষারণ্যে দ্বাদশ বার্ষিক যজ্ঞানুষ্ঠান করিয়ছিলেন। ঐ সময়ে এক দিবস ব্রতপরায়ণ মহর্ষিগণ দৈনন্দিন কর্ম্মাবসানে একত্র সমাগত হইয়া কথা প্রসঙ্গে কালযাপন করিতেছেন, এই অবসরে সুত লোমহর্ষণপুত্র পৌরাণিক উগ্রশ্রবা বিনীতভাবে তাঁহাদের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। নৈমিষারণ্যবাসী তপস্বিগণ দর্শনমাত্র অদ্ভূত কথা শ্রবণ-বাসনাপরবশ হইয়া তাঁহাকে বেষ্টন করিয়া চতুর্দিকে দণ্ডায়মান হইলেন। উগ্রশ্রবা বিনয়নম্র ও কৃতাঞ্জলি হইয়া অভিবাদনপুর্ব্বক সেই সমস্ত মুনিকে তপস্যার কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। পরে সমুদয় ঋষিগণ স্ব স্ব আসনে উপবিষ্ট হইলে তিনিও নির্দিষ্ট আসনে নিবিষ্ট হইলেন। অনন্তর তাঁহার শ্রান্তি দূর হইলে, কোন ঋষি কথাপ্রসঙ্গ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হে পদ্মপলাশলোচন সুতনন্দন! তুমি এক্ষণে কোথা হইতে আসিতেছ এবং এতকাল কোথায় ভ্রমণ করিলে বল।”[১]

 কিছু দিন অনুবাদ মুদ্রিত হইবার পর, কালীপ্রসন্ন সিংহ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সম্মতি লইয়া মহাভারতের অনুবাদ প্রকাশ করিতে থাকেন “কালীপ্রসন্ন বাবু ইহা স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, ‘মহাভারতানুবাদ সময়ে অনেক স্থলে অনেক কৃতবিদ্য মহাত্মার নিকট আমাকে ভূয়িষ্ট সাহায্য গ্রহণ করিতে হইয়াছে, তন্নিমিত্ত তাঁহাদিগের নিকট চিরজীবন কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ রহিলাম। আমার অদ্বিত্ম সহায় পরম শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং মহাভারতের অনুবাদ করিতে আরম্ভ,

  1. বলা বাহুল্য,ইহার পূর্ব্বে মহাভারতের এরূপ বঙ্গানুবাদ হয় নাই।