পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪২
বিদ্যাসাগর।

যে যাহা পছন্দ করে সে তাহাই শিধিৰে।” অতঃপর “কমিটী অব্ পাবলিক্ ইন্‌ষ্ট্ৰকশন” এই শিক্ষা-প্রণালীর পর্য্যালোচনার প্রতি দৃষ্ট রাখিলেন। ইহার পর ইংরাজী শিক্ষার বেগ খরতর হইয়াছিল। ইতিপূর্ব্বে ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে বা ১২৪২ সালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রদত্ত হয়। ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে বা ১২৪৪ সালে আদালত হইতে পার্সী ভাষা উঠিয়া যায়। এদেশীয় বিচারকর্ত্তাদের উপর অধিকতর বিস্তৃত ভাবে কার্য্যভার অর্পিত হয়। সুতরাং নৃতন শিক্ষা-প্রণালীর কার্য্যও প্রশস্তত্তর হইতে থাকে। কমিটী বাঙ্গালাকে নয়টী সার্কেলে অর্থাৎ অংশে বিভক্ত করেন। প্রত্যেক ভাগে একটা করিয়া কলেজ বসান হইয়াছিল।[১]প্রত্যেক ভাগের অন্তর্ভূত প্রত্যেক জেলায় একটা ইংরাজী-বাঙ্গাল স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছিল। ১৮৫২ খৃষ্টাব্দে বা ১২৫৯ সালে কমিটী শিক্ষা-বিভাগের ভার অধিকতর শক্তিশালিনী সভা “কোঁন্সিল অব এডুকেশনের” উপর অর্পণ করেন। এই কৌন্সিলের অধীনে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অনেক কার্য্য করিতে হইয়াছিল। পরবর্ত্তী ঘটনায় কৌন্সিলের কার্য্যকলাপের ফল উদঘাটিত ও আলোচিত হইবে।

 ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কার্য্যকালে, ১৮৪৪ খৃষ্টাব্দে বা ১২৫১ সালে তদানীন্তন বড় লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ বাঙ্গালা ভাষা-শিক্ষার নিমিত্ত পাশ্চাত্য বিদ্যালয়ের আদর্শে গঠিত

  1. এই কমিটীর কার্য্যকালেও ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে বা ১২৪২ সালে হিসাব করিয়া দেখা হইয়াছিল, বাঙ্গালার এক লক্ষ গ্রাম্য স্কুল ও পাঠশালা ছিল। ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে বা ১২৬২ সালের পূর্ব্বে ইহাদের উন্নতি পক্ষে কোন চেষ্টা হয় নাই।