পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্য-সন্ধান।
১৭৫

অশ্ব রথারোহণেতে সুদৃঢ় হও ও নিত্য ব্যায়াম কর ও লম্ফেতে উল্পম্ফেতে ও ধবনেতে ও গড়চক্রভেদেতে ও বূহরচনাতে ও ব্যূহ ঙ্গেতে নিপুণ হও।”

 মৃতুঞ্জয় শর্ম্মার লিথিত “বত্রিশসিংহাসন”ও এই সময়ে কতকটা এই প্রণালীতে লিখিত হয়। ইহার ভাষা “তোতা ইতিহাস” ও “লিপিমালা” অপেক্ষা অনেকটা ভাল; তবে কষ্ট-কল্পিত; সুতরাং ইহাতে রসমাধুর্য্যের অভাব। নমুন,—

 “এক দিবস রাজা অবন্তীপুরীতে সভা মধো দিব্য সিংহাসনে বসিয়াছেন, ইতোমধ্যে এক দরিদ্রপুরুষ আসিয়া রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইল, কথা কিছু কহিল না। তাহাকে দেখিয় রাজা মনের মধ্যে বিচার করিলেন যে, লোক যাত্রা করিতে উপস্থিত হয়, তাহার মরণকালে যেমন শরীরের কম্প হয় এবং মুখ হইতে কথা নির্গত হয় না ইহারও সেইমত দেখিতেছি, অতএব বুঝিলাম ইনি যাত্রা করিতে আসিয়াছেন, কহিতে পারেন না।”

 ইহার পর রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় কর্ত্তৃক প্রণীত মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের চরিত্র উল্লেখযোগ্য। ইহা ১৮০৮ খৃষ্টাব্দে প্রথমে জীরামপুরে ও পরে ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে লওনে মুদ্রিত হয়। বাঙ্গালী ভাষায় ইংরেজীধরণে বাঙ্গালা জীবনী, বোধ হয় ইহাই প্রথম। ইহার ভাষা সরল ও সহঞ্জ; পরস্তু ইহাতে অধিকতর পুষ্টিরও পরিচয়; কিন্তু শব্দ-লালিত্যের বড়ই অসদ্ভাব। নমুনা এই,—

 “তাহাতে পত্র নিবেদন করিলেন, মহারাজ, আমরা পুরুষামুক্রমে এ রাজ্যের পাত্র, কিন্তু স্বৰ্গীয় মহারাজা বা আর আর প্রকার সুখ্যাতি করিয়াছেন, যজ্ঞ কেহ করেন নাই। মহারাজ