পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারী
১৮৩

দিবার জন্যও তিনি যথেষ্ট উপরোধ করিয়াছিলেন। তিনি স্পষ্টই লিখিয়াছিলেন, এ পদের বেতন বৃদ্ধি না হইলে বিদ্যাসাগরের ন্যায় এক জন উপযুক্ত লোক পাওয়া দুরূহ। রসময় বাবু যে পত্র পাঠাইয়াছিলেন, তাহার সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পদপ্রার্থনার আবেদনপত্র ও প্রশংসাপত্রাদি পাঠান হইয়াছিল।

 রসময় দত্তের পত্র ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রশংসাপত্রাদি পাইয়া, শিক্ষা-বিভাগের তৎকালিক সেক্রেটারী এ, ফজে, মৌয়েট্ এম, ডি, সাহেব অতি সন্তোষসহকারে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সংস্কৃত কলেজের আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারীর পদে নিযুক্ত করিতে স্বীকার করেন। তবে তিনি সে সময় পদের বেতন বৃদ্ধি করিতে সম্মত হন নাই।

 মৌয়ে্ট সাহেব ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দের ২রা এপ্রেল রসময় বাবুকে এই মর্ম্মে পত্র লেখেন,—“ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারী পদে নিযুক্ত করা হইল, কিন্তু আপাততঃ তাঁহার বেতন বৃদ্ধি হইবে না। পরে কার্য্য বুঝিয়া বেতন বৃদ্ধি করিবার সম্ভাবনা রহিল।”

 ৪ঠা এপ্রেল এই পত্রের এক অনুলিপি ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট প্রেরিত হইয়াছিল। রসময় বাবু তাঁহাকে আসিষ্টেণ্ট সেক্রেটারীর পদ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বুঝাইয়া বলেন,—“তুমি যদি এ পদ গ্রহণ কর, তাহা হইলে কলেজের উন্নতি হইবে। কলেজের উন্নতি হইলে নিশ্চিতই বেতন বৃদ্ধি হইবে।”

 বেতন বৃদ্ধির আশা বুঝিয়া এবং রসময় বাবুর অনুরোধ রক্ষা না করা অন্যায় ভাবিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় পদগ্রহণে