পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৪
বিদ্যাসাগর।

সম্মত হন। এই এপ্রিল মাসে তিনি সংস্কৃত কলেজের আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারী হন।

 সংস্কৃত কলেজের আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারী পদ গ্রহণ করিলে পর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুরোধে তাঁহার দ্বিতীয় ভ্রাতা দীনবন্ধু ন্যায়রত্ন মহাশয় ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজের পণ্ডিতপদে নিযুক্ত হন। ইতিপূর্ব্বে বিদ্যাসাগর মহাশয় মার্সেল সাহেবকে বলিয়া কহিয়া কলিকাতার তালতলা-নিবাসী দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজের হেড-রাইটার-পদে নিযুক্ত করিয়া দেন।

 সংস্কৃত কলেজের আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারী হইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের অনেক সংস্কার সাধন করেন। পূর্ব্বে শিক্ষকই কি, আর ছাত্রই কি, কলেজে আসিবার বা যাইবার কাহারও কোন বাঁধাবাঁধি, আঁটা-আঁটি নিয়ম ছিল না। এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয় সকল অধ্যাপকের আগমনের বহু পূর্ব্বে সমাগত হইয়া কলেজের প্রবেশ দ্বারের সম্মুখভাগে আপন মনে পদ চারণা করিতেছিলেন। পণ্ডিতাগ্রগণ্য স্মার্ত ভরতচন্দ্র শিরোমণি, তাহা লক্ষ্য করিয়া অপরাপর অধ্যাপকদিগকে কহিলেন,—“ওগো আর আমাদের বিলম্বে আসা চলিবে না, বিদ্যাসাগর অগ্রে আসিয়া কৌশলে আমাদিগকে তাহা জানাইতেছেন।” তৎপর দিবস হইতে তাঁহারা সকলে যথাসময়ে উপস্থিত হইতে লাগিলেন। বিদ্যাসাগর, শিরোমণি প্রভৃতির ছাত্র ছিলেন। সুতরাং তিনি মুখে কোন কথা বলিতে কুণ্ঠিত হইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অনেক বিষয়ে সুকৌশলে সুব্যবস্থা ও সুনিয়ম করিয়া দেন। তিনি সংস্কৃত কলেজে প্রথম কাষ্ঠের পাশ প্রচলিত করেন। কোন ছাত্র এই পাশ না লইয়া বাহিরে যাইতে পারিত না।