পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
বিদ্যাসাগর।

উৎফুল্ল ফেননিচয়চুম্বিত ভয়ঙ্কর তিমি মকর নক্র চক্র ভীষণ স্রোতস্বতীপতি প্রবাহমধ্য হইতে সহসা এক দিব্য তরু উদ্ভূত হইল।” এরূপ ভাষা বাঙ্গালার উপযোগী নয় বলিযা পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় বুঝিতে পারিয়াছিলেন। এই জন্য আধুনিক সংস্করণে ইহা পরিত্যক্ত হইয়াছে। মনস্বী ও বিচক্ষণ লেখকেরা সহজেই আপনাদের ভ্রম বুঝিয়া তাহা সংশোধন করিয়া লয়েন। জনসনের “রাম্বালা"র বাক্যাড়ম্বরে অনেকটা শ্রুতিকটু হইয়াছিল। ইহা তিনি বুঝিতে পারিয়া “কবিদিগের জীবনী”তে এ দোষ পরিত্যাগ করিতে সাধ্যানুসারে প্রয়াস পাইয়াছিলেন। “রাম্বালা”র অপেক্ষা “কবি-জীবনী”র ভাষা অধিকতর সরল ও সহজ হইয়াছে। “বেতালে’র প্রথম সংস্করণের বাক্যাড়ম্বর প্রমাণ জন্য যে স্থল উপরে উদ্ধৃত হইয়াছে, তাহার পরিবর্ত্তে এখনকার সংস্করণে এইরূপ আছে,—“কল্লোলিনীবল্লভের প্রবাহমধ্য হইতে, অকস্মাৎ এক স্বর্ণময় ভূরুহ বিনির্গত হইল।”

বেতাল, একাদশ উপাখ্যান, ৯৫ পৃষ্ঠা।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় অনেক স্থলেই ঠিক অনুবাদ করেন নাই। যে স্থান উদ্ধৃত হইল, তাহার মূলেই ইহার প্রমাণ। হিন্দী মূলে এইরূপ আছে,—

 “सागरमेंसे एक सोनेका तरवर निकला। वह जमुरुदके पात, पुखराजके फल, मुझेके फलॉसे ऐसा खुब लदा हुश्रा था, कि जिसका बयान नहीं हो सकता और उसपर मङ्गा सुन्दरी बीन हाथमें लिये मोठे मीठे सुरोंसे गाती थी।”

 মূলে সাগরের বাক্যাড়ম্বরময় বিশেষণ নাই; কিন্তু বুক্ষের