পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কবি-প্রীতি।
১৯৭

করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মৃত্যুর পর রসিকচন্দ্র একবার কলিকাতায় আসিয়াছিলেন। অন্যান্য অনেক বার বৃদ্ধ রসিকচন্দ্রের মুখে অনেক রস-ভাষা শুনিয়াছিলাম। তাঁহার বার্দ্ধক্য-জরা বদনমণ্ডলেও যৌবনসুলভ হাস্য-কৌতুকের লহরী দেখিয়াছি; এবার কিন্তু আর তাঁহার সে ভাব দেখি নাই, বিদ্যাসাগরের মৃত্যুতে বৃদ্ধের দেহ-যষ্টি ভগ্ন হইয়াছিল। পরম সুহৃদ্‌ বিদ্যাসাগরের গুণগরিমা ও বান্ধববাৎসল্য স্মরণ করিয়া তিনি কেবলমাত্র অশ্রুবিসর্জ্জন করিয়াছিলেন। রসিকচন্দ্র বলিয়াছিলেন,“যখন বিদ্যাসাগর নাই, তখন আমিও আর নাই। আমি জীবন্মৃত হইয়া রহিলাম।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মৃত্যুর বৎসর দুই পর রসিকচন্দ্র মানবলীলা সংবরণ করেন। সহৃদয় সুহৃদের সুদারুণ শোক অনেকটা রসিকচন্দ্রের মৃত্যুর কারণ হইয়াছিল।