পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০
বিদ্যাসাগর।

কলেজের “হেড রাইটার” এবং “ট্রেজারের” পদ শূন্য হয়। দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই কাজ করিতেন। এই পদে নিযুক্ত থাকিয়াই দুর্গাচরণ বাবু মেডিকেল কলেজে পড়িতেন। ইনিই পরে প্রসিদ্ধ ডাক্তার হন। ইনি মেডিকেল কলেজের “আউট স্টুডেণ্ট” ছিলেন; অর্থাৎ বিনা বেতনে পড়িতে পাইতেন; পরীক্ষা দিয়া উপাধি পাইবার অধিকারী ছিলেন না। কেবল মার্সেল্‌ সাহেবের অনুগ্রহে তাঁহার পড়া-শুনা চলিত। চাকুরী করিতে করিতে একবার মার্সেল্‌ সাহেব, ছুটি লইয়া বিলাত গিয়াছিলেন। সেই সময় কর্ণেল রাইলি সাহেব তাঁহার স্থানে কাজ করিতেছিলেন। দুর্গাচরণ কাজ করিতে করিতে পড়া শুনা করেন, রাইলি সাহেবের এমন ইচ্ছা ছিল না। এই জন্য দুর্গাচরণকে বড়ই বেগ পাইতে হইয়াছিল। যাহা হউক, মার্সেল্‌ সাহেব ফিরিয়া আসিলে, দুর্গাচরণের আবার একটু সুবিধা হইয়াছিল। পরে ১২৫৬ সালে বা ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে তিনি “হেড রাইটারী” পদ পরিত্যাগ করেন। দুর্গাচরণের জীবনেও অনেক অলৌকিক ঘটনার পরিচয় পাওয়া যায়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত তাহার যে সম্পর্ক ছিল, সেই সম্পর্ক-সংঘটিত ঘটনাবলী একে একে বিবৃত করিলে, একখানি অতি বৃহৎ পুস্তক হইতে পারে। দুর্গাচরণ বাবুর একখানি সম্পূর্ণ জীবনী বাঙ্গালা ভাষায় রচিত ও প্রকাশিত হওয়া উচিত। তাঁহার একখানি ইংরেজী জীবন-চরিত দেখিয়াছি। তাহাও সম্পূর্ণ নহে।

 মার্সেল সাহেবের অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে দুর্গাচরণ বাবুর পদ গ্রহণ করেন।

 ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের “হেড রাইটারের” বেতন ছিল