পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রিপোর্ট।
২০৯

সেই সময় ইংরেজি-বিদ্যার বেগও অধিকতর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছিল।

 ইংরেজি-বিদ্যাব প্রসার বাড়াইবার জন্য তখন শিক্ষণবিভাগের কর্ত্তৃপক্ষেরা ও অধিকতর যত্নশীল হইয়াছিলেন। ১৮৪২ খৃষ্টাব্দে “এডুকেশন কৌন্সিলের” উপর শিক্ষা-বিভাগের ভার পড়িয়াছিল। কৌন্সিল উচ্চশ্রেণী ইংরেজি ও বাঙ্গলা শিক্ষার উৎকর্ষসাধনে বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন। এতদর্থে তাঁহারা পরীক্ষা ও বৃত্তির যথোচিত ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। যাহার বেশ কৃতকার্য্য হইত, তাহাদিগের সরকারী কর্য্যে প্রবিষ্ট হইবারও বেশ সুবিধা হইত। ইংরেজি শিক্ষার জন্য পাঠ্যনিৰ্দ্ধারণ, পরীক্ষা-গ্রহণ, শিক্ষক. নিয়োজন প্রভূতি কর্য্যে কৌন্সিল কোনকপ ক্রটি করিতেন না। ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে ২৮টী স্কুল ছিল। ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে কৌন্সিলের যত্নে ও চেষ্টায় ১৫১ট হইয়াছিল। ছাত্র ছিল, ৪,৬৩২টী; হুইয়াছিল ১৩, ১৬৩টী। শিক্ষক ছিল, ১৯১টী; হইয়াছিল ৪৫ টী। যাহার ভাল ইংরেজি লেখা পড়া শিখিত,তাহারা সহজেই চাকুরী পাইত। ইংরেজী বিদ্যা অর্থকরী বিদ্যা হইয়াছিল; সংস্কৃত বিদ্যা তো আর তাহা ছিল না; পরন্তু সংস্কৃত পাঠ-সমাপনে অনেক সময় লাগিত। কাজেই সংস্কৃত পড়িবার প্রবৃত্তিও লোকের কম হইয়াছিল। ক্রমেই সংস্কৃত কলেজের ছাত্র কমিতে আরম্ভ হয়। এই জন্য কৌন্সিলের কর্তৃপক্ষরা সংস্কৃত কলেজের লোপাকাঙ্ক্ষা করেন। তাঁহারা সংস্কৃত কলেজটী উঠাইয়া দিবারও এক রূপ সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। তবে কলেজটী একেবারে না উঠাইয়া কোনরূপ ইহার সংস্কার হইতে পারে কি না, ইহাও তাঁহাদের আলোচ্য হইয়াছিল। তাঁহারা ভাবিয়ছিলেন, কলেজের শিক্ষা-প্রণালী

২৭