পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৬
বিদ্যাসাগর।

দিয়াছিলেন। বোধ হয়, এই সকল দেখিয়া শুনিয়াই সেক্রেটরী রসময় বাবু কর্ম্ম ত্যাগ করিলেন। - বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক প্রস্তাব, ২৩৮ পৃষ্ঠা।

 ৪ঠা জানুয়ারি, শিক্ষাবিভাগের সেক্রেটরী মৌয়েট্‌ সাহেব এক পত্র লিখিয়া, রসময় বাবুর কর্ম্মত্যাগের আবেদন গ্রাহ্য করেন। এই পত্রে রসময় বাবুর কার্য্যদক্ষতার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হইয়াছিল।[১] পরন্তু মৌয়েট্‌ সাহেব তাঁহার পদত্যাগ মঞ্জুর করিয়া, তাঁহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের হস্তে কার্য্যভার অর্পণ করিবার আদেশ করেন। ২০শে জানুয়ারি তাৎকালিক বেঙ্গল গবর্ণমেণ্টের অণ্ডর সেক্রেটরী ডবলিউ. সিটনকর সাহেব, বেঙ্গল গবর্ণমেণ্টের অনুমত্যনুসারে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে রসময় বাবুর পদে অধিষ্ঠিত করেন।[২] এই নিয়োগের পর সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটরী ও আসিস্টাণ্ট সেক্রেটরীর পদ উঠিয়া যায়। এই দুই পদে এক পদ হইল,— “প্রিন্সিপাল"। এ পদের বেতন ১৫০\টাকা।[৩]

 সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের শিক্ষা-পরিবর্ত্তনে আত্মনিয়োগ করেন। তাৎকালিক পণ্ডিত মণ্ডলী ও ছাত্রবৃন্দ তাঁহার অসাধারণ শ্রম শক্তি অবলোকন করিয়া বিস্মিত হইলেন।

 প্রিন্সিপাল-পদে অধিষ্ঠিত হইয়া, “প্রিন্সিপালের” কার্য্য ব্যতীত, তাঁহাকে অন্যান্য বহু কার্য্যে ব্যাপৃত থাকিতে হইত।

  1. সংস্কৃত কলেজের এই কয়জন সেক্রেটারী ছিলেন,— টড্‌ জি. টি. মাসেলি, কাপ্তেন বুয়ার, রামকমল সেন, রসময় দত্ত।
  2. Letter No. 70
  3. Letter No 37