পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০৮
বিদ্যাসাগর।

তাহদের বিশেষ পীড়ার কারণ হইতেছে, তখন ইহার সার্থকতা কোথায়? যদি কোন হিন্দুর পিতা শাস্ত্রজ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকের অনুবর্ত্তী হইয়া, তাহার কন্যাকে আমৃত্যু কষ্টভোগ কিম্বা ব্যভিচার হইতে রক্ষা করিতে চাহেন, তাহা হইলে কোন আইনে যেন তাহাকে বাধা না দেয়। কোন খৃষ্টান কিম্বা মুসলমানকে বিধর্ম্মী বলিয়াই জোর করিয়া তাহার কন্যকে চিরজীবনের জন্য দুঃখের কঠোর ক্রোড়ে অর্পণ করিতে বলাই যে ঘৃণাজনক, তাহা নহে। যে হিন্দু শাস্ত্রের এই ভয়ানক ভ্রমপরিপূর্ণ অপ্রকৃত অর্থ অবিশ্বাস্য বলিয়া অগ্রাহ করেন, তাঁহাকেও ঐরূপে কন্যাটকে চিরকাল দুঃখ ভোগ করিবার জন্য বাধ্য করা, কম ঘুণার বিষয় নয়।

 যে বিল এক্ষণে ব্যবস্থাপক সভায় পেশ হইয়াছে, তাহা মিউনিসিপাল আইনের দোষ সংশোধন করিবে কিন্তু ইহা আবেদনকারিগণের ও বিরুদ্ধমতাবলম্বীদিগের কোন-অনিষ্টের কারণ হইবে না। বিবাহসম্বন্ধে শাস্ত্রের কোন্ প্রমাণটী যথার্থ, কোনটাী অযথার্থ, কিংবা এই দুই বিরুদ্ধ মতের কোনটী অনুসরণ করা উচিত, ইহাতে তাহা প্রতিপন্ন করা হইতেছে না। ইহাতে এমন কোন বিষয় থাকিবে না, যাহাতে ইহা কোন লোকের মর্তের বিরুদ্ধাচরণ করে। কিন্তু যদি কোন হিন্দু আপনার মতের পোষকতা করিতে গিয়া কোন বিভিন্ন মতাবলম্বী বা অপেক্ষাকৃত হৃদয়বান্‌ প্রতিবেশিবর্গের দুঃখের কারণ হন কিংবা তাহাদের মধ্যে ব্যভিচার-বিষ বপন করেন, তাহা হইলে ইহা তাহাই নিবারণ করিবে।

 ১২৬২ সালের ২রা অগ্রহায়ণ বা ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের ১৭ই নবেম্বর, পাণ্ডুলিপি প্রথম পঠিত হয়। গ্রাণ্ট সাহেব, এই পাণ্ডুলিপির পক্ষ সমর্থনার্থ যে সব কথা বলিয়াছেন, তাহার অধিকাংশ শুনিলে