পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
৩১৯

“গত ২৩ অগ্রহায়ণ রবিবার বিধবার বিবাহপক্ষ ব্যক্তিবুহ্য়ের বিশেষ স্মরণীয় হইবেক, প্রতি বৎসর তাঁহারা ঐ দিবস পর্ব্বাহ দিবসের ন্যায় বিবেচনা করিয়া আমোদ-প্রমোদ করিলেও করিতে পারেন, যেহেতু উক্ত দিবা যামিনীযোগে তাঁহারা বিবিধ প্রকার প্রতিবন্ধকতা প্রতিসংহার পূর্ব্বক আপনাদিগের দলস্থ যুক্ত শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্নের সহিত লক্ষ্মীমণি নাম্নী কোন অধীরার বিধবা কন্যার উদ্বাহ কার্য্য নির্ব্বাহ করিয়াছেন, ঐ বিবাহের কন্যাযাত্রিদিগের নিকট উক্ত অধীরা সে রক্তাকার পত্র প্রেরণ করেন, তাহা এই;—

শ্রীশ্রীহরিঃ।

শরণং।

 শ্রীলক্ষ্মীমণি দেব্যাঃ—

 সবিনয় নিবেদন।

 ২৩ অগ্রহায়ণ রবিবার আমার বিধবা কন্যার শুভ বিবাহ হইবেক। মহাশয়েরা অনুগ্রহপূর্ব্বক কলিকাতার অন্তঃপাতী সিমুলিয়ার সুকেসষ্ট্রীটের ১২ সংখ্যক ভবনে শুভাগমন করিয়া শুভকর্ম্ম সম্পন্ন করিবেন, পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণ করিলাম। ইতি তারিখ ২১ অগ্রহায়ণ শকাব্দ: ১৭৭৮ |”

 জগৎকালীর দ্বিতীয়োদ্বাহের এই রক্তময় পত্র প্রাপ্ত হইয়া বাবু নীলকমল বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবু রামগোপাল ঘোষ, বাবু রমাপ্রসাদ রায়, বাবু দিগম্বর মিত্র, বাবু প্যারিচঁদ মিত্র, বাবু নৃসিংহচন্দ্র বসু, বাবু কালী প্রসন্ন সিংহ, ভাস্কর সম্পাদক, প্রভৃতি অনেক লোক উপস্থিত হইয়াছিলেন বটে, কি তাহার মধ্যে বিদ্যালয়ের বালক ও