পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালা সংবাদপত্র।
৩৬৫

উপর যথানিয়মে সাপ্তাহিক সংবাদপত্র-প্রকাশ করা বাস্তবিক চাকুরী অপেক্ষাও কষ্টকর।” অগত্যা এক জন সুদক্ষ সম্পাদকের অনুসন্ধান চলিতে লাগিল। তিনি পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয়কে উক্ত কার্য্যের উপযুক্ত পাত্র বিবেচনা করিয়া তাঁহার হস্তে সোমপ্রকাশ সমর্পণ করেন। বিদ্যাভূষণ মহাশয় সোমপ্রকাশের সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী হইলেন।

 অধুনা যে প্রণালীতে ও যে প্রকরণে ইংরেজী সংবাদপত্র পরিচালিত হইয়া থাকে, বিদ্যাভূষণ মহাশয় সেই প্রণালীতে ও সেই প্রকরণে সোমপ্রকাশ পরিচালিত করিতেন। বিদ্যাভূষণ বিদ্যাসাগরের মুখ উজ্জ্বল করিয়াছেন। সোম প্রকাশ প্রকাশিত হইবার পূর্ব্বে অনেক বাঙ্গালা সংবাদপত্র প্রকাশিত হইয়াছিল। সেই সব সংবাদপত্রের অধিকাংশে সমাজ-বিষয়ক ও ধর্ম্মসংক্রান্ত বিষয়ের আলোচনা অধিক পরিমাণে থাকিত। রাজনীতির আলোচনা যে হইত না, এমন নহে; তবে সোম প্রকাশের ন্যায় উচ্চতর গভীর প্রণালীতে নহে। ভাষার পুষ্টিসাধন সম্বন্ধে সোমপ্রকাশ উচচতর আদর্শস্বরূপ হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। যাহা বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত, তাহাতে যে ভাষার পুষ্টিকারিতার উচ্চতর সোপান প্রতিষ্ঠিত হইবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি? তবে সোমপ্রকাশের পূর্ব্বে যে সব সংবাদপত্র প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহারাও বাঙ্গালা ভাষায় পুষ্টিসাধন জন্য বাঙ্গালী মাত্রের বরণীয়। প্রকৃতই বাঙ্গালা গদ্যের পুষ্টি-প্রারম্ভ বাঙ্গালা সংবাদপত্রে। প্রথম সংবাদ পত্রে পুষ্টিসঞ্চার, পরে তাহার ক্রমবিকাশ। সোম প্রকাশের পূর্ব্বে যে সব সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়, “প্রভাকরের” ভূতপূর্ব্ব সম্পাদক শ্রীযুক্ত গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় দ্বিতীয় বর্ষের দ্বাদশ-সংখ্যক