নিকটে চারি পয়সা সুদ দিয়া টাকা ধার লইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিতেন,—“দ্বারবানেরা জানিt, আমি নিঃসম্বল। তবু যে, তারা আমাকে কেন ধার দিত, বলিতে পারি না।” বিদ্যাসাগরের জীবনে প্রায় অর্দ্ধ-লক্ষাধিক টাকার ঋণ হইয়াছিল; কিন্তু তিনি মৃত্যুকালে এক কপর্দ্দকও ঋণ রাখিয়া যান নাই। দশ হউক, আর দশ হাজারই হউক, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহা সংগ্রহ করিয়া দিতেন। মাইকেল মধুসূদনকে তিনি ১০,০০০ (দশ সহস্র) মুদ্রা অকাতরে দিয়াছিলেন। এই ১০,০০০ দশ সহস্র টাকা তাঁহাকে ঋণ করিতে হইয়াছিল। এই টাকা তিনি প্রথমতঃ হাইকোর্টের মৃত জজ অনুকুলচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট হইতে ঋণ করিয়াছিলেন। পরে পণ্ডিত শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয়ের নিকট হইতে টাকা লইয়া তিনি অনুকুলচন্দ্র বাবুর টাকা পরিশোধ করেন। এই শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন বিদ্যাসাগরের মতে প্রথম বিধবা-বিবাহকারী। এই দেনা শোধের নিমিত্ত তাঁহাকে ছাপাখানার অংশ বিক্রয় করিয়া এই টাকা দিতে হয়। বৃত্তান্ত পরে যথাস্থানে প্রকটিত হইবে।
পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৭৬
বিদ্যাসাগর।