পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেট্রপলিটন।
৪১১

 মেট্রপলিটনের বেতন ৩৲ তিন টাকা। অনেকেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুগ্রহে বিনা বেতনে পড়িত। কেহ কেহ তাঁহাকে বঞ্চনাও করিতেন। কলিকাতা সহরের কোন লক্ষপতি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে বলিয়া কহিয়া আপনার শ্যালককে বিনা বেতনে স্কুলে ভর্তি করিয়া দেন। অবশ্য বিদ্যাসার মহাশয় জানিতে পারেন নাই, এটী লক্ষপতির শ্যালক; পরন্তু জানিয়াছিলেন, সে অতি দরিদ্র। একদিন বিদ্যাসাগর মহাশয় স্কুলে গিয়া দেখেন, শ্যালকটী দিব্য পরিচ্ছদে ভূষিত; রসগোল্লা পান্তুয়া প্রভৃতি বহু উপাদেয় দ্রবা জলযোগ করিতেছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহাতে বিস্ময়ান্বিত হন। পরে তিনি অনুসন্ধানে শ্যালকের প্রকৃততত্ত্ব জানিতে পারেন। তাহার পর সেই লক্ষপতির নিকট গিয়া তিনি বলেন,—“আমার সঙ্গে বঞ্চনা? তোমায় ধিক্! কি কবিয়া তুমি শ্যালকটিীকে বিনা বেতনে স্কুলে ভর্ত্তি করিলে?” লক্ষপতি নির্ব্বাক। শ্যালকটী স্কুল হইতে বিতাড়িত হইয়াছিল।

 মেট্রপলিটনের জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়কে একবার দেওয়ানী মোকদ্দমায় আসামী হইতে হইয়াছিল। মেট্রপলিটন পাথুরিয়া ঘাটার জমীদাবি ৺খেলচ্চন্দ্র ঘোষের ভাড়াটীয়া বাটীতে ছিল। ভাড়া পাওনার দরুণ খেলৎ বাবু, হাইকোর্টে নালিশ করিয়াছিলেন। আসমী হইয়াছিলেন, রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়। বাড়ী মেরামত করিবার কথা ছিল। মেরামত হয় নাই বলিয়া, ভাড়া দেওয়া হয় নাই। মোকদ্দমা রুজু হইবার পূর্ব্বে ৺রমানাথ ঠাকুর, হীরালাল শীল ও রামগোপাল ঘোষ গোলযোগ মিটাইবার চেষ্টা করেন। খেলৎ বাবু যাহা