পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেথুনে নরম্যাল।
৪১৫

বেথুন স্কুলের সেক্রেটারী-পদ পরিত্যাগ করেন। ১২৭৪ খৃষ্টাব্দে ফাল্গুন মাসে বা ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে তাঁহাকে বেথুন স্কুলের আরও একটি গুরুতর কার্য্যের মীমাংসা করিতে হইয়াছিল। স্কুলের তত্ত্বাবধায়িকা মিস্ পিগটের নামে এক অভিযাগ উপস্থিত হয় যে, তাঁহার অমনোযোগিতা হেতু বিদ্যালয়ের অবনতি হইতেছে। তদ্ব্যতীত স্কুলে খৃষ্টানী গান গীত, হইত, এইরূপও একটী অতি ভয়ঙ্কর অভিযোগ হয়, অধিকন্তু স্কুলের বেতনবৃদ্ধির প্রস্তাব হইয়াছিল। এইজন্য অনেকে স্কুলে আর মেয়ে পাঠাইত না। এই অভিযোগের অনুসন্ধানার্থ এক কমিটী হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় ও ৺প্রসন্নকুমার সর্ব্বাধিকারী মহাশয় এই কমিটীর সব্‌কমিটীতে সভ্য ছিলেন। অনুসন্ধানে নির্দ্ধারিত হয়, মিস্ পিগট্ বাস্তবিক অপরাধিনী।[১] তিনি পদচ্যুত হন।

 ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পিতা কাশীবাসী হন। পিতৃভক্ত পুত্র পিতাকে প্রথমতঃ কাশী পাঠাইতে সম্মত হন নাই। পিতার সনির্ব্বন্ধ ব্যগ্রতা দেখিয়া তিনি অবশেষে তাঁহাকে কাশী পাঠাইতে বাধ্য হন। পিতাকে কাশী পাঠাইবার পূর্ব্বে তিনি তিন শত টাকা ব্যয় করিয়া পিতার প্রতিকৃতি অঙ্কিত করিয়া লয়েন। এই প্রতিকৃতি এখনও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে বিরাজমান। অতঃপর তিনি জননীরও প্রতিমূর্তি অঙ্কিত করিয়া লইয়াছিলেন। জননীর প্রতিকৃতিও পিতার প্রতিকৃতির সম্মুখেই প্রতিষ্ঠিত আছে।

  1. মিস্ পিগট্ আত্মপক্ষসমর্থনার্থই একটী সুবিস্তর মন্তব্য লিখিয়াছিলেন।