পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২৮
বিদ্যাসাগর।

দয়া-মায়া নাই? অদ্য যাউন, আর একদিন আসিবেন।” তখন লোক গুলি অপ্রস্তুত হইয়া চলিয়া যান।

 বিদ্যাসাগর মহাশযের উপর এইরূপ উৎপীড়ন প্রায়ই হইত। তিনি বলিতেন,—“উৎপীড়ন প্রায়ই হইত বটে; কিন্তু উৎপীড়ন সহ্য করিতে অভ্যাস করিয়াছি।”

 এই সময়ে দেবোত্তর বিষয়ে হস্তান্তরকরণ সম্বন্ধে আইন করিবার বিল হয়। সরকার বাহাদুর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মত অবগত হইবার জন্য তাঁহাকে পত্র লিখিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় নিম্নলিখিত পত্রে নিম্নলিখিত রূপ অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়াছিলেন। পত্র ইংরেজিতে লিখিত হইয়াছিল, এইখানে তাহার মর্ম্মানুবাদ প্রকাশিত হইল,—


 আর, বি, চ্যাপমান স্কোয়ার
 বোর্ড অব্ রেভিনিউ আপিসের সেক্রেটরি
  মহোদয় সমীপেষু—

মহাশয়!

 আপনি গত ১৮ই জুলাই তারিখে ৬৫৬ নং বি নং পত্রে আমার যে মন্তব্য চাহিয়াছেন, তাহার প্রত্যুত্তরে আমার বক্তব্য এই যে, হিন্দু ব্যবহার-শাস্ত্রে, দেবোত্তর সম্পত্তির বিক্রয় বা প্রতিকূলে কোন প্রকার প্রমাণ-বাক্য দৃষ্ট হয় না; কিন্তু দেশের চিরন্তন পদ্ধতি, এরূপ সম্পত্তির কোন প্রকার হস্তান্তরের প্রতিকূলে দণ্ডায়মান। বস্তুতঃ হিন্দুধর্মাবলম্বী-মাত্রেই যখন ঈদৃশ দেবোত্তর সম্পত্তি প্রতিষ্ঠা করেন, তাঁহাদিগের তখন প্রধান উদ্দেশ্য এই থাকে যে, এরূপ সম্পত্তি ভবিষ্যতে