অষ্টাবিংশ অধ্যায়।
ভ্রাতার অভিমান, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, রাজা রাধাকান্ত, হিন্দু-
পেট্রিয়টে পত্র, জ্যেষ্ঠ কন্যার বিবাহ, রামগোপাল
ঘোষ, সারদাপ্রসাদ, ঘাটাল-স্কুল, রাণী
কাত্যায়নী, ইন্কম্ ট্যাক্স ও
হরচন্দ্র ঘোষ।
নারায়ণ বাবুর মুখে শুনিয়াছি, ভ্রাতারা মধ্যে মধ্যে জ্যেষ্ঠের উপর অভিমান করিয়া মাসহরা লইতেন না। এজন্য সময় সময় তাঁহাদের কষ্ট হইত। সে কষ্টের কথা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কর্ণগোচর হইলে, তিনি বাটী গিয়া গোপনে গোপনে ভ্রাতৃবধুদের অঞ্চলে টাকা বাঁধিয়া দেওয়াইতেন।
১৮৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বহুবিবাহ বহিত করণসম্বন্ধে আইনের প্রত্যাশায় গবর্ণমেণ্টে আবেদন হইয়াছিল। ফল হয় নাই।
১২৭৩ সালের ১৮ই পৌষ বা ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের ৬ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হাইকোটের ভূতপুর্ব্ব জজ অনারেবল শম্ভুনাথ পণ্ডিতের মৃত্যু হয়। বেথুন স্কুলের সম্পর্কে ইহাঁর সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সবিশেষ ঘনিষ্ঠতা হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় যেবার বেথুন স্কুলে চিক পুরস্কার দেন, সেইবার ইনি সোনার বালা পুরস্কার দিয়াছিলেন।
১২৭৪ সালের ১লা বৈশাখ বা ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের ১০ই এপ্রেল স্যর রাজা রাধাকান্ত দেবের মৃত্যু হয়। ইনি বিধবা-বিবাহের