পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৩৮
বিদ্যাসাগর।

বিপক্ষবাদী ছিলেন; কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তেজস্বিতা ও বুদ্ধিমত্তা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতেন।

 এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনেক দেনা ছিল বলিয়া হিন্দু-পেট্রিয়ট, এডুকেশন গেজেট প্রভৃতি সংবাদপত্রে সাধারণের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়া এক বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন বীরসিংহ গ্রামে ছিলেন। ফিরিয়া আসিয়া যখন তিনি এই কথা শুনেন, তখন তাঁহার সেই প্রশান্ত বারিধিবৎ হৃদয়ে যেন মুহূর্তে বিষম বাড়াবানল প্রজ্বলিত হইয়া উঠে। তিনি তখনই তাহার একটা প্রতিবাদ করিয়া হিন্দু পেট্রিয়টে এক পত্র লিখেন। পত্রের মর্ম্ম এই,—

 “বহু দিনের পর আমি বাড়ী হইতে কলিকাতায় আসিলাম। আসিয়া শুনিলাম, বিধবা-বিবাহ-সংস্কারের জন্য অনেকগুলি টাকার ঋণ হইয়াছে বলিয়া চাঁদা তুলিয়া সেই ঋণশোধের নিমিত্ত একটা ফণ্ড-স্থাপনের প্রস্তাব হইয়াছে; বলা হইয়াছে, আমি সেই ঋণ করিয়াছি। শুনিয়া আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম। দেশী ইংরেজী সকল সংবাদপত্রেই এ কথা ব্যক্ত হইতেছে; লোকের মুখে মুখে এ কথা ঘুরিতেছে; তথাকথিত ঋণের একটা তালিকাও দেওয়া হইয়াছে।

 কাজেই, যত শীঘ্র সম্ভব, আমাকে প্রতিবাদ করিতে হইল। বলিতে হইল, আমার সম্মতি লওয়া ত দুরের কথা, এ প্রস্তাব করিবার পূর্ব্বে আমাকে একবার জানানও হয় নাই। আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। বলিতে হইল, না জানিয়া শুনিয়া যে ৪৫ হাজার টাকা ঋণের কথা কথিত হইয়াছে, প্রকৃতপক্ষে ঋণ তাহার অর্দ্ধাংশেরও অনেক অল্প, আর এই