ঋণশোধের নিমিত্ত সাধারণের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিবার ইচ্ছা আমার কখনই নাই। বিধবা-বিবাহ-সংস্কারের অনেক হিতৈষী অতি যৎসামান্য অর্থসাহায্য করিয়াছেন; কিন্তু স্বেচ্ছায় আমি সেই স্বেচ্ছাদত্ত অর্থসাহায্যে কখনও প্রত্যাখ্যান করি নাই, কিন্তু তাই বলিযা ইহার জন্য ব্যক্তিবিশেষকে পীড়াপীড়ি করা আমার নীতিবিরুদ্ধ। কয়েকটী বন্ধুর অর্থসাহায্যে এবং যত অল্পই হউক আমার নিজ আয়ের উপর নির্ভর করিয়াই আমি এতাবৎ এই সংস্কারের পথে চলিয়া আসিতেছি; এবং আশা আছে, এখনও এইরূপ চলিতে পারি। উল্লিখিত কয়েকটী বন্ধু এবং স্বেচ্ছায় যাঁহারা অর্থসাহায্য করিতেছেন, এমন কতকগুলি ব্যক্তি এ পক্ষে আমার সহায়। অনেক স্থলে ইঁহারা কথার মত কাজ করিয়াছেন এবং এখনও সাহায্যাদি করিতেছেন।
৬০টী বিধবা-বিবাহে ৮২ হাজার টাকা খরচ হইয়াছে। শুনিলাম এজন্য কেহ কেহ বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছেন; কিন্তু যাঁহারা হিন্দুসমাজের অবস্থা জানেন, এক দলাদলির জন্যই এ পক্ষে কত অধিক টাকার ব্যয় হইতে পারে, তাহা বোধ করি, তাঁহারা অজ্ঞাত নহেন। মফঃস্বলের যে সকল গ্রামে বিধবা-বিবাহ অনুষ্ঠিত হইয়াছে, তাহার অনেক স্থলেই এইরূপ দলাদলি; সুতরাং সহজেই প্রতীত হইতেছে, এরূপ স্থলের বিবাহ অবশ্যই কিছু ব্যয়সাপেক্ষ।
প্রথম বিধবা-বিবাহের অনুষ্ঠান হয়,—কলিকাতা শহরে। এই প্রথম বিবাহে একটু ধূমধাম করা এবং পণ্ডিত কুলীনাদির বিদায়াদি দেওয়া সংস্কার-সমিতির সভ্যগণের মতে প্রয়োজনীয়