বোধ হয়। তাই বহু কুলীন ব্রাহ্মণাদি এ বিবাহে আহুত হইয়াছিলেন এবং বিদায়াদিও তাঁহাদিগকে দেওয়া হইয়াছিল। শুদ্ধ এই একটা বিবাহেই দশ সহস্র টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল, কিন্তু অতিব্যয়ের শুদ্ধ ইহাই কারণ নহে; মফঃস্বলে যাঁহারা এ সংস্কারের জন্য—বিধবা-বিবাহের জন্য চেষ্টা করিতেছিলেন, তাঁহাদিগকে নানারূপ অন্য বিপদে পড়িতে হইয়াছে। নানারূপ দেওয়ানী ফৌজদারী মামলায় তাঁহাদিগকে জড়িত হইতে হইতেছে; আহত প্রহৃত হইতে হইতেছে; কোথাও কোথাও দাঙ্গা-হাঙ্গামাদিতেও লিপ্ত হইতে হইতেছে, ইহার প্রতিবিধান আদালত হইতেই করিতে হইতেছে। বলা বাহুল্য এ কার্য্য কখনই অনল্প-ব্যয়সাপেক্ষ নহে।
আমার সম্বন্ধে লোকে কিছু ভাবিবে বা আমাকে শোকে কেহ কিছু বলিবে,— এ ভয়ে আমি এই সকল কথা বলিতেছি না— বলিতেছি, এই বিধবা-বিবাহ-সংস্কারকার্য্যে ইহা অনুকূল হইবে বলিয়া; তবে এতৎসম্বন্ধে ভাল ভাবিয়া কোন কাজ করিতে গিয়া যদি মন্দ করিয়া ফেলি, তাহা হইলে অবশ্যই আমাকে দুঃখিত হইতে হইবে। যাহারা এই চাঁদা তুলিবার প্রস্তাব করিয়াছেন এবং বিধবা বিবাহ-ফণ্ড খুলিবার সংকল্প করিয়াছেন, তাঁহারা যদি আমার এই ঋণের কখা না পাড়িতেন, তাহা হইলে আমি প্রতিবাদ করা আবশ্যক বলিয়া বোধ করিতাম না। কেন না পূর্ব্বেই বলিয়াছি, আমি যাহা ঋণ করিয়াছি, তাহা শোধ করিবার জন্য সাধারণ সমীপে আবেদন করিবার ইচ্ছা আমার লেশমাত্রও নাই। যে জাতীয় অনুষ্ঠান লইয়া আমি এখন যুঝিতেছি, তাহা আমার নিজ ব্যক্তিত্ব লইয়া