ঊনত্রিংশ অধ্যায়।
ছাপাখানার সত্ত্ব, মনোবেদনা, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা,
বর্দ্ধমানে বিদ্যাসাগর, ঋণের জন্য ঋণ ও
বিধবা-বিবাহে
লাঞ্ছনা।
একদিন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্র নারায়ণ বাবু বিদ্যাসাগর মহাশয়কে বলেন, “বাবা! মেজখুড়ো ছাপাখানার বখরা চাহিতেছেন।” বিদ্যাসাগর মহাশয় শুনিয়া অবাক হইলেন। পরে তিনি মধ্যম ভ্রাতাকে ডাকাইয়া বলিলেন,—“ভাই! শুনিয়াছি, তুমি ছাপাখানার ভাগ চাহিতেছ। ভাল তাহাই হইবে। দেনা পাওনা দেখ, মধ্যস্থ মান।” অতঃপর বিদ্যাসাগর মহাশয় ৺দ্বারকানাথ মিত্রকে এবং দুর্গামোহন দাসকে মধ্যস্থ মানিলেন।
এ সালিসিতে রাজকৃষ্ণ বাবু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তৃতীয়ানুজ শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন এবং তদীয় পিতৃব্যপুত্র পীতাম্বর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে সাক্ষী মানা হইয়াছিল। বিদ্যারত্ন মহাশয় এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ষষ্ঠানুজ ঈশানচন্দ্র ছাপাখানার অংশে দাবী করেন নাই। সাক্ষ্য দিতে হইবে বলিয়া বিদ্যারত্ন মহাশয় ন্যায়রত্ন মহাশয়কে ছাপাখানার দাবী পরিত্যাগ করিতে অনুরোধ করেন।[১] ন্যায়রত্ন মহাশয় বিদ্যারত্নের অনুরোধে দাবী পরিত্যাগ করেন। ন্যায়রত্ন মহাশয় যখন ছাপাখানার অংশে দাবী পরিত্যাগ করেন, তখন বিদ্যা-
- ↑ ৺শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন প্রণীত ‘প্রেমনিবাস’ নামক পুস্তকে এই কথার উল্লেখ আছে।