পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পুত্রের বিবাহ।
৪৭৯

বাল বিধবার ভীষণ বৈধব্য-যন্ত্রণা দূর করা। এ অধম সন্তানের তাহা অবশ্য সাধ্যায়ত্ত। আমি তাহাতে পশ্চাৎপদ হইব না। তাহাতে আপনাকে কতকটা সন্তুষ্ট করিতে পারিলেই আমার জীবন ধন্য হইবে, আর তাহা হইলে বোধ হয়, আপনার সদভিপ্রায়ের বিপক্ষবাদীরাও সন্দিহান হইতে পারিবে না।”

 কন্যার মাতা, বিধবা কন্যাটীকে লইয়া প্রথম বীরসিংহ-গ্রামে উপস্থিত হন। তথায় তিনি বিদ্যারত্ন মহাশয়কে কন্যার পুনর্ব্বিবাহ দিবার প্রস্তাব করেন। বিদ্যারত্ন মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়কে পত্র লেখেন। ৰিাসাগর মহাশয় একটী পাত্র ঠিক করিয়া কন্যাকে কলিকাতায় আনিবার জন্য বিদ্যারত্ন মহাশয়কে পত্র লিখিয়া পাঠান। ইতিমধ্যে কিন্তু নারায়ণ বাবু কন্যাটীকে বিবাহার্থী হন। বিদ্যাসাগর মহাশয় সে সংবাদ পাইলেন। বাড়ীর অন্যান্য অনেকের অমত ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্পূর্ণ অভিমতি প্রকাশ করেন। তাঁহারই আদেশক্রমে পাত্র ও পাত্রী কলিকাতায় আনীত হয়। মৃজাপুরু-নিবাসী ডিঃ কালেক্টর কালীচরণ ঘোষের বাড়ীতে পরিণয় কার্য্য সম্পন্ন হইয়াছিল।

 ভ্রাতা বিদ্যারত্ন মহাশয় এই বিবাহে আপত্তি করিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে পত্র লিখিয়াছিলেন। বিবাহান্তে বিদ্যাসাগর মহাশয়, ভ্রাতাকে পশ্চাল্লিখিত পত্র লিখিয়া পাঠাইয়াছিলেন,—

শুভাশিষঃসস্ত,—

 ২৭শে শ্রাবণ বৃহস্পতিবার নারায়ণ ভবসুন্দরীর পাণিগ্রহণ করিয়াছে। এই সংবাদ মাতৃদেবী প্রভৃতিকে জানাইবে।

 ইতিপুর্ব্বে তুমি লিখিয়াছিলে, নারায়ণ বিধবাবিবাহ করিলে,