পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ত্রয়স্ত্রিংশ অধ্যায়।

কাশীতে জননী, মাতৃ বিয়োগ, পিতৃ সেবা, কাশীর কাব্য,

হিন্দু-উইল, রাজা সতীশচন্দ, রানী ভুবনেশ্বরী,

উত্তর চরিত ও অভিজ্ঞান শকুন্তণ নাটক।

 ১২৭৭ সালের ভাদ্র বা ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে আগষ্ট মাসে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী বারাণসী ধামে গমন করেন। তিনি তথায় কিয়দ্দিন থাকিয়া বহু তীর্থ-পর্য্যটনে বাহির হন। তীর্থপর্য্যটনান্তে তিনি পুনরায় কাশীধামে ফিরিয়া আসেন। নারায়ণ বাবুর মুখে শুনিয়াছি, কাশীতে ফিরিয়া আসিয়া, তিনি স্বামীকে বলেন,—“আমি বাড়ী ফিরিয়া যাই, মরিবার এখনও বহু বিলম্ব আছে; এখন দেশে যাইলে, দেশের অনেক গরীব-দুঃখী খাইতে পাইবে; ঠিক মরিবার পূর্ব্বে এইখানে আসিব।” এই কথা বলিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী দেশে ফিরিয়া আসেন। এখানে তিনি দারিদ্র্য দুঃখ-হরণ রূপ মহাব্রতে নিযুক্ত হন। এই মহাব্রতের উদ্‌যাপন কিন্তু এইবার এইখানেই হইল। পর বৎসর ফেব্রুয়ারি মাসে, ৺বারাণসী ধামে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পিতার সাংঘাতিক পীড়া হয়। এই জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাঁহার মধাম ভ্রাতা তৃতীয় ভ্রাতা এবং জননী কাশীধামে গিয়াছিলেন। পিতা অরোগ্য লাভ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ফিরিয়া আসেন। দুই মাস কাশীবাস করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী কিন্তু চৈত্রসংক্রান্তিতে বিসূচিকা রোগে প্রাণত্যাগ করেন।