পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০০
বিদ্যাসাগর।

খৃষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহ ব্যাপারে বিব্রত ছিলেন বলিয়া, গবর্ণমেণ্ট ইহাতে মনোযোগী হইতে পারেন নাই।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় নিশ্চিন্ত থাকিবার পাত্র নহেন। ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে যখন কাশীর রাজা দেবনারায়ণ সিংহ বাহাদুর ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন, সেই সময় এসম্বন্ধে আইন হইবার উদ্যোগ হয়; কিন্তু কিয়দ্দিন পরে রাজাবাহাদুরকে ব্যবস্থাপক সভা হইতে যথানিয়মানুসারে বিদায় লইতে হইয়াছিল; সুতরাং উদ্যোগ কার্য্যে পরিণত হইল না। ১৮৬৫ সালে তাৎকালিক বঙ্গেশ্বর স্যর সিসিল বিডন সাহেবের নিকট বহুজন-স্বাক্ষরিত এক আবেদনপত্র প্রেরিত হয়। তাহাতে যে কোন ফলোদয় হয় নাই, তাহা পূর্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে। ইহার পর বিদ্যাসাগর মহাশয় উত্তরপাড়ায় পড়িয়া যান। শরীরের অসুস্থতানিবন্ধন তিনি এতৎসম্বন্ধে আর কোন আলোচনা করিতে পারেন নাই। ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে তাৎকালিক সনাতন ধর্ম্মরক্ষিণী সভায় এতৎসম্বন্ধে একটী আন্দোলন উপস্থিত হয়। সভায় বাদানুবাদ ও তর্কবিতর্ক চলিয়াছিল। এই অবসরে বিদ্যাসাগর মহাশয় পুনরায় এতদালোচনায় প্রবৃত্ত হন। সেই আলোচনার ফল,—এই প্রথম পুস্তক।

 প্রথম পুস্তক প্রকাশিত হইবার পর, তারানাথ বাচস্পতি, দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ, পণ্ডিত ক্ষেত্রনাথ স্মৃতিরত্ন, মুর্শিদাবাদে খ্যাতনামা কবিরাজ গঙ্গাধর কবিরত্ন প্রমুখ অনেকেই ইহার প্রতিবাদ করেন। সেই সময় ইহা লইয়া, সমগ্র বঙ্গদেশ বিলোড়িত হইয়াছিল। তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের পুস্তক সংস্কৃত ভাষায় রচিত হইয়াছিল। অন্যান্য পুস্তক বাঙ্গালায়। এই সব প্রতিবাদীর মত খণ্ডনার্থ, ১২৭৯ সালের চৈত্র মাসে বা ১৮৭২ খৃষ্টাব্দের মার্চ্চ