পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৩৪
বিদ্যাসাগর।

অধিকার করিবে। পণ্ডিত মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন এই কার্য্য উত্তমরূপে সম্পন্ন করিতেছেন। উপস্থিত বন্দোবস্ত আপাততঃ চলিতেছে; পরে যদি ভাল না চলে, তবে নূতন বন্দোবস্ত করা যাইবে।”

 বিদ্যাসাগর মহাশয় ১০ই জুনের হিন্দু-পেট্‌রিয়টে আপন অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়া, আপনার নির্দ্দোষিতার প্রমাণ করেন।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এইরূপ তেজস্বিতার কথা স্মরণ করিয়া বোধ হয়, দৈনিক সম্পাদক লিখিয়াছিলেন,—[১] “যে সকল উচ্চপদস্থ রাজপুরুষের কাছে অন্যে মাথা হেট করিয়া থাকেন, বিদ্যাসাগর তাহাদিগকে আপনার সমান বলিয়া মনে করিতেন। উচ্চপদস্থ রাজপুরুষদিগের সহিত বন্ধুত্বসুলভ সদ্ভাবসম্বন্ধ ছিল; তিনি কোন কালে কাহারও তোষামদ করেন নাই। গবর্ণর ও কাউন্সিলের সভ্যদিগকে বিদ্যাসাগর নিজের বন্ধু বলিয়া মনে করিতেন; বড় আদালতের জজ্ দিগকেও সেই ভাবে দেখিতেন। উচ্চ পদে এমন ইংরেজ ছিলেন না, যাঁহার কাছে বিদ্যাসাগরকে ভয়ে ভয়ে মাথা হেট করিয়া কথা কহিতে হইত।”

 ইহার পর, শিক্ষা বিভাগে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুস্তকের বিক্রয় কমিয়া যাওয়ায় আয়ের হ্রাস হইয়াছিল। বিদ্যারত্ন মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মুখে নিম্নলিখিত কথা শুনিয়াছিলেন,—

 “বর্ত্তমান ছোট লাট কাম্বেল সাহেবের সহিত আমার মনোবাদের কারণ এই যে, কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের স্মৃতি-শাস্ত্রাধ্যাপকের পদ যাইবার সময় আমার সহ পরামর্শ করিয়া,


  1. দৈনিক বঙ্গবাসী কার্য্যালয় হইতে প্রকাশিত প্রাত্যাহিক সংবাদপত্র এখন নাই।