পরিণত করিতে তোমরা সকলে চেষ্টা করিবে। এই বিশ্বাসে এবং এই বিবেচনাতে মৃত সারদা প্রসাদ বাবু আপনাদের দুই জনের হস্তে কার্য্যভার অর্পণ করিয়া যান। আপনি যখন ঐ পত্র লিখিয়াছিলেন, তখন আপনার কি সন্দেহ হইয়াছিল যে, সারদা বাবু আপনাদের দুই জনের হস্তে কার্য্যের ভার দিয়া গিয়াছেন? যখন আপনি ঐ পত্র লিখেন, তখন আপনার কি সন্দেহ হইয়াছিল যে, সারদা বাবু রাজেশ্বরী এবং যোগেন্দ্রের হস্তে সমস্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধারণের ভার দিয়াছেন?
উঃ। আমি এই প্রশ্ন সম্পূর্ণরূপে বুঝিতে পারিলাম না। (এই প্রশ্নটী পুনরায় আদালত দ্বারায় বাঙ্গালায় বলা হয়।) সারদা বাবুর উইলের বিষয়ে আমার সন্দেহ ছিল। আদালতে যে উইল ফাইল করা হয়, তাহাতেই দুই জনের দ্বারা বিষয়ের রক্ষণাবেক্ষণের কথা উল্লেখ আছে ও তজ্জন্য আদালতে যে উইল ফাইল হয়, তাহার আনুযায়িক রাজেশ্বরী এবং যোগেন্দ্র বিষয়ের তত্বাবধারণের জন্য আদালত “হইতে” অনুমতি পাইয়াছিলেন এবং এরূপ অবস্থাতে কোন বিষয়ের বন্দোবস্ত জন্য তাহাদিগকে পত্র লিখিতে হইলে, তাহারা উইল দ্বারা যে ক্ষমতাসম্পন্ন, তাহ উল্লেখ করিতে হয়। সেই কারণেই আমি তাঁহাদিগকে ঐ ভাবে পত্র লিখি। সে যাহা হউক, উইল যথার্থ, তাই আমার বিশ্বাস ছিল না এবং সারদা বাবু যে উইল দ্বারা কার্য্য করিতে তাহাদিগকে ক্ষমতা দিয়া গিয়াছেন, তাহা বিশ্বাস করি নাই।
নবীনচন্দ্র গাঙ্গুলি সব্ জজ।
২রা আগষ্ট, ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দ।
তিন খানি পত্র আমি পাইয়াছি, তাহার মধ্যে একখানি বৃন্দা-