পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৭০
বিদ্যাসাগর।

পুত্র প্রিয়ম্বুর উইল আনুযায়িক মাসহারা পাইবার চেষ্টা করিবেন। (সাক্ষী ১০ এবং ১০ এ নং কাগজে সহির প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলেন।) কাগজের তলায় রাজেশ্বরীর যে স্বাক্ষর আছে, রাজেশ্বরীর স্বাক্ষর বলিয়া আমার বোধ হয়। আমি যোগেন্দ্রের বাঙ্গালা হস্তাক্ষর দেখি নাই (প্রমাণের সহি)। (একটা কাগজের প্রতি লক্ষ্য করিয়া সাক্ষী বলেন) কাগজের শেষ রাজেশ্বরীর যে সহি আছে, তাহা রাজেশ্বরীর বলিয়া আমার বোধ হয়। সাক্ষী এক খানি চিঠি লক্ষ্য করিয়া বলেন—ইহা কাহার হস্তের লেখা, আমি বলিতে পারি না। রাজেশ্বরী আমার বাটিতে আসিয়াছিলেন। তিনি ১৪।১৫ দিন পূর্ব্বে আমার বাটীতে আসেন এবং প্রায় এক সপ্তাহ আমার বাটীতে থাকেন। সুবিধামত বাটী না পাওয়া যাওয়াতে আমি তাঁহাকে আমার বাটীতে রাখি। না-বালক ললিতমোহন এবং রাজেশ্বরীর যাহাতে মঙ্গল হয়, আমি তাহার চেষ্টা করিয়াছি। এই সম্বন্ধে আমি ককরেল সাহেবের সহিত দেখা করি। তিনি বর্দ্ধমাম বিভাগের কমিশনর। আমি আরও উমেশচন্দ্র মিত্রের পরামর্শ লই। মধ্যস্থদ্বারা মোকদ্দমার মীমাংসা হয়, ইহাই আমার ইচ্ছা ছিল। আমি শপথপূর্ব্বক বলিতেছি যে, সর্ব্বপ্রথমে মধ্যস্থ দ্বারা মিটাইবার কথা আমি উল্লেখ করি নাই। আমাকে এক জন মধ্যস্থ বলিয়া নির্দ্ধারিত করা হয়। আরও অন্যান্য যাঁহারা মধ্যস্থ হইবেন, তাঁহাদিগের নাম আমি উল্লেখ করি। ঐ মধ্যস্থদিগের নাম প্রসন্নকুমার সর্ব্বাধিকারী এবং রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপধ্যায়। প্রসন্ন বাবু সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল এবং অপর ব্যক্তি প্রেসিডেন্সি কলেজের এক জন অধ্যাপক। উভয়ই আমার বন্ধু। ককরেল সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ হইবার পর তিনি