পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৭৪
বিদ্যাসাগর।

তাঁহার বিধবা স্ত্রীকে উইল অনুযায়ী কার্য্য করিতে পরামর্শ দিয়াছিলেন?

 সাক্ষী বলেন,—“আমি অত্যন্ত পীড়িত এবং দুর্ব্বল; বিশেষতঃ সকাল বেলা আহার করি নাই। কাল বুঝিয়াছিলাম যে, ১১টার ভিতরেই আমার এজাহার শেষ হইয়া যাইবে। আর বুঝিতেও পারি না এবং কথা কহিতেও পারি না।” বাদিনীর পক্ষে কৌন্সিল বলেন,—তাহার এজাহার প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে। তাঁহাকে আর দুইটী মাত্র প্রশ্ন করা হইবে। এখন দুইটা বাজিয়াছে।

 উঃ। আমি তাঁহাকে তাঁহার ইচ্ছা অনুযায়ী কার্য্য করিতে বলিয়াছিলাম, এই বিবেচনায় যে, তাহা হইলে দেশের উপকার হইবে ও সারদা বাবুরও কথা বজায় থাকিবে। যদি রাজেশ্বরী আমাকে জিজ্ঞাসা করিতেন, উইল জাল কি না, তাহা হইলে আমার মনের যাহা বিশ্বাস, তাহা আমি নিশ্চয় তাঁহাকে বলিতাম। তিনি আমায় সে বিষয়ে কোন কথা জিজ্ঞাসা করেন নাই এবং আমিও কোন কথার উল্লেখ করি নাই। আমি বলিয়াছি যে, আমি রাজেশ্বরীর পত্র উমেশ মিত্রকে দিই, উমেশ মিত্র সে পত্র খানি পাইয়া খুব চাপ দেন অর্থাৎ তিনি বলিয়াছিলেন যে, তিনি যদি এইরূপ পত্র পান, তাহা হইলে তিনি কালেক্টর আফিসে যাইবেন; আর সমস্ত বিষয় দাৰী করিবেন। তিনি এই কথা বলিলে, আমি রাজেশ্বরীকে সেই মত কার্য্য করিতে বলি। ইহার পরে কোন লোক ইংরেজিতে একখানি খসড়া করে। আমি তাহা সর্ব্বপ্রথমে রাজেশ্বরীকে দেখাই, পরে উমেশ বাবু সেই পত্রের কতক অংশে আপত্তি উত্থাপন করিলে, রাজেশ্বরীকে