পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শোক।
৬০৫

স্কুল-কলেজ বন্ধ হইয়াছিল। কলিকাতায় মেট্রপলিটনের ছাত্রগণ পাদুকা পরিত্যাগ করিয়াছিল। কলিকাতার পুস্তক বিক্রেতৃগণ, কোম্পানীর কাগজের দালালগণ ও রাধাবাজারের দোকানদারগণ দোকানপাট ও অফিসাদি বন্ধ করিয়াছিলেন। মেট্রপলিটন, প্রেসিডেন্সি, সংস্কৃত কলেজ, হাবড়া স্কুল প্রভৃতি কলেজ-স্কুলে শোক-প্রকাশের জন্য সভা হইয়াছিল। সংস্কৃত কলেজে নবদ্বীপের খ্যাতনামা পণ্ডিত ভুবনমোহন বিদ্যারত্ন, মেট্রপলিটনে শ্রীযুক্ত মাননীয় গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের মাননীয় অধ্যাপক টনি সাহেব সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন। এতদ্ভিন্ন, কত স্থানে কত সভাসমিতি যে আহূত হইয়াছিল, তাহার সংখ্যা হয় না। মফঃস্বলে বর্দ্ধমান, হুগলী, শ্রীরামপুর, ঢাকা, আসাম-গৌহাটী, বরিশাল, ত্রিপুরা, কুচবিহার প্রভৃতি ছোট বড় সহরে এবং অন্যত্র হায়দারাবাদ পর্যন্ত নানা স্থানে শোকপ্রকাশ এবং স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা করিবার উদ্দেশে সভাসমিতি হইয়াছিল। ঢাকার সভায় ভূতপূর্ব্ব বান্ধবসম্পাদক এবং স্বর্গীয় ভাওয়ালরাজের প্রধান মন্ত্রী মনস্বী কালী প্রসন্ন ঘোষ বাহাদুর মহাশয়, সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন। ভাওয়ালাধিপতি রাজা রাজেন্দ্রনারায়ণ বাহাদুর বিদ্যাসাগরের স্মৃতি-চিহ্ন রাখিবার অভিপ্রায়ে ঢাকা কলেজে তিন সহস্র টাকা দিবার প্রস্তাব করেন। বন্দোবস্ত এইরূপ হয়, যদি কোন ছাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া বৃত্তি না পায়, অথচ সংস্কৃত পরীক্ষায় সর্ব্বোচ্চ হয়, তাহা হইলে তাহাকে মাসিক ১০৲ দশ টাকা হিসাবে, পাঁচ বৎসর কাল এই টাকার সুদ হইতে বৃত্তি দেওয়া হইবে। কালীগঞ্জের স্কুলে একটি সভা হইয়াছিল। যে ছাত্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের একখানি