পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৪৭

সহায়তার জন্য ইনি গবর্নমেণ্ট কর্ততৃক ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে রাজা বাহাদুর এবং আর, সি, এস, আই উপাধি দ্বারা বিভূষিত হইয়াছিলেন। বেলগেছিয়া জিলা নামক সুরম্য উদ্যান ইঁহার এবং ইঁহার কনিষ্ঠ (দত্তক) ভ্রাতা ঈশ্বর চন্দ্র সিংহের সম্পত্তি। এই বাগানেই উঁহাদের পুত্রগণের অধিকার কালে বর্ত্তমান ভারতসম্রাট্ যুবরাজরূপে ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে দেশীয়গণ কর্ত্তৃক নিমন্ত্রিত হইয়া আসেন। এই বাগানেই উভয় ভ্রাতার সঙ্গে ও মহাহাজ যতীন্দ্রমোহন প্রমুখ বন্ধুগণের সহায়তায় বাঙ্গালা নাটক অভিনীত এবং বাঙ্গালা ঐক্যতান- বাদন প্রণালী উদ্ভূত হয়। উহাই বর্ত্তমান সাধারণ নাট্যমঞ্চের সূত্রপাত বলিয়া পরিগণিত হয়। প্রতাপচন্দ্র চারি পুত্র রাখিয়া ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে ৩৯ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। তাঁহাদের নাম গিরিশচন্দ্র, পূর্ণচন্দ্র, কান্তিচিন্দ্র ও শরচ্চত্র। এক্ষণে কেবল শরচ্চন্দ্রই জীবিত আছেন। তাঁহার পুত্রের নাম বীরেন্দ্র চন্দ্র। গিরিশচন্দ্র ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে দেহত্যাগ করেন। সিংহ বংশের আদি নিবাস মুর্শিদাবাদ জেলাস্থ কাঁদি গ্রামে একটী হাঁসপাতাল পরিচালনার জন্য এক লক্ষ পঁচিশহাজার টাকা প্রদান করেন। পূর্ণচন্দ্র ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন ও ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন। কান্তিচন্দ্র, ১৮৮০ খৃষ্টাব্দে দেহত্যাগ করেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পুত্র ইন্দ্রচন্দ্র জীবনের শেষভাগে সন্ন্যাসিবেশ ধারণ করিয়া বোধানন্দনাথ স্বামী নাম গ্রহণ করেন। ১৮৯৪ ধৃষ্টাব্দে ৩৭ বৎসর বয়সে ইঁহার মৃত্যু হয়।