পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা
৬৪৯

করে এবং তাহার ফলে ইঁহার মৃত্যুর পর ইঁহার বিষয় সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া দেয়। ব্যক্তিগত হিসাবে ইঁহার বিশেষ ক্ষতি হইয়াছিল বটে, কিন্তু একথা একরূপ নিশ্চয় বলা যাইতে পারে যে, ইঁহারই আলোচনার ফলে এদেশ হইতে নীলকরের অত্যাচার দূরীভূত হয়। ইঁহার মত পরিশ্রমী লোক সচরাচর দৃষ্ট হয় না। বিপন্নের উদ্ধারার্থ ইনি বুক দিয়া পড়িতেন। কি নিঃস্বার্থ পরোপকার, কি দেশহিতৈষণা, কি বিদ্যাবত্তা সকল বিষয়েই ইনি অসাধারণতার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। ১২৬৮ সালে ১২ই আষাঢ় (১৮৬১ খৃঃ ১৪ই জুন) এই মহানুভবের দেহত্যাগ হয়। ইঁহার স্মরণার্ধ বৃটীশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসনের গৃহের নিম্নতলে হরিশ লাইব্রেরী নামে একটী পুস্তকাগার স্থাপিত হইয়াছে। ফ্রামজী বোমানজী নামক জনৈক পার্শী হরিশ্চন্দ্রের একখানি জীবনচরিত রচনা করিয়াছিলেন। (পুস্তকের নাম Lights and Shades of the East.)

মহাতাপ চাঁদ।

 বর্দ্ধমান রাজ্যের অধিপতি। ১৭৪৮ শকে বর্দ্ধমানাধিপতি তেজশ্চন্দ্র বাহাদুর ইঁহাকে দত্তকপুত্ররূপে গ্রহণ করেন। ইহার কিছুকাল পরে তেজশ্চন্দ্র পরলোক গমন করিলে রাজমহিষী কমলকুমারী দেওয়ানের সাহায্যে রাজকার্য্য নির্ব্বাহ করেন। পরে মহাতাপচাঁদ ১৭৬৫ শকে ২৩ বৎসর বয়সে রাজপদে অভিষিক্ত হন। ইঁহার সুশাসনে রাজ্যের অনেক উন্নতি হয়। ইনি এক সময় কাশীরামদাসী মহাভারত পাঠ করেন। কিন্তু তাহাতে