পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৭৮
বিদ্যাসাগর।

১৮৯৪–৯৫ খৃষ্টাব্দে ইনি বিভাগীয় কমিশনারের পদে উন্নীত হন। এই উচ্চপদ বাঙ্গালীর ভিতর রমেশচন্দ্রই প্রথম লাভ করেন। ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে ইনি রাজকার্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু সাহিত্য আলোচনা হইতে ইঁহার অবসর কোন কালেই ঘটে নাই। প্রথমেই ইনি বঙ্গসাহিত্য বিষয়ে রেভাঃ লালবিহারী দে পরিচালিত Bengal Magazine নামক মাসিক পত্রিকায় কয়েকটি প্রবন্ধ লেখেন। তাহার পর মাধবীকঙ্কণ,বঙ্গবিজেতা, জীবন-প্রভাত, জীবনসন্ধ্যা, সংসার ও সমাজ নামক কয়েকখানি উপন্যাস রচনা করেন। ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে ইনি সি, আই, ই, উপাধি লাভ করেন। রাজকার্য্য হইতে অবসর লইয়া কিছুদিন ইনি লণ্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে ভারতের ইতিহাসের অধ্যাপনা করেন। কিছুদিন বরোদার রাজস্বসচিবের পদেও আসীন ছিলেন। বঙ্গ সাহিত্যে ইঁহার প্রগাঢ় অনুরাগ। “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ” স্থাপিত হইলে ইনিই তাহার প্রথম সভাপতি হন। ইনি ঋগ্বেদের একখানি বঙ্গানুবাদ করিয়াছেন। ইঁহার রচিত ইংরাজি গ্রন্থের মধ্যে নিম্নে কয়েকখানির নাম প্রদত্ত হইল:—Ancient civilization in India, Lays of ancient India, Ramayana and Mahabharata in English verse, Economic History of British India. লর্ড মিণ্টোর শাসন কালে যে Decentralization commission বসে, রমেশচন্দ্র তাহাতে অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯০৯ খৃষ্টাব্দের জুন মাস হইতে ইনি বরোদার প্রধান রাজমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হন, এবং তৎপরে The Slave Girl of Agra নামক একখানি উপন্যাস প্রণয়ন করেন।