পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা
৬৮৭

অত্যাচার অসহনীয় হইয়া উঠিল দেখিয়া প্রসন্নকুমার, দ্বারকানাথ ঠাকুর ও কতিপয় বন্ধুর সাহায্যে কলিকাত টাউনহলে লাখেরাজগণের একটা বিরাট সভা আহবান করেন। আন্দোলন এরূপ আকার ধারণ করিল যে, তখনকার গভর্ণর জেনারেল লর্ড অকলণ্ড ভীত হইলেন এবং লাটভবন অক্রান্ত হইবে এইরূপ আশঙ্কা করিলেন। বিরাট সভার সংবাদ অৰ্দ্ধঘণ্টা অন্তর তাঁহার নিকট পৌঁছিতে লাগিল। আন্দোলনের ফলে এই হইল যে, ৫০ বিঘার অনধিক লাখেরাজ জমিগুলির বাজেয়াপ্ত রহিত হইল। লর্ড ডালহৌসির শাসনকালে ব্যবস্থাপক সভার সৃষ্টি হইলে প্রসন্নকুমার ঐ সভার Clerk Assistant পদে নিযুক্ত হন। এই পদে অধিষ্ঠিত থাকিয়া অনেক আইন বিধিবদ্ধ হুইবার সময়ে ইনি গভর্ণমেণ্টকে বিশেষ সাহায্য করিয়াছিলেন। ইনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার অন্ততম সদস্য ছিলেন। বাঙ্গালীর পক্ষে বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হইবার প্রথম সম্মান ইঁহারই ঘটে। কিন্তু তখন ইনি অত্যন্ত পীড়িত, সুতরাং সভায় যোগদান করা ইঁহার ভাগ্যে ঘটিয়া উঠিল না। ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দে ৩০ এপ্রেল ইনি সি,এস,আই উপাধি দ্বারা ভূষিত হন। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে ৩১শে আগষ্ট ইনি দেহত্যাগ করেন। ইনি তেজস্বী, মনস্বী ও যশস্বী পুরুষ ছিলেন। প্রসন্নকুমার আইন ও জমাদারীতে যেমন অভিজ্ঞ, সংস্কৃত শিক্ষায়ও তেমনই অনুরাগী ছিলেন। মৃত্যুর লময় ইনি যে উইল করিয়াছিলেন, তদ্দ্বারা ৩ লক্ষ টাকা আইন শিক্ষাকল্পে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তে দিয়া যান। সেই টাকার সুদে ঠাকর ল-লেকচার প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। মূলাযোড়ের সংস্কৃত বিদ্যালয়ের গৃহনির্ম্মাণ জন্য ৩৫,০০০ টাকা; ঐখানে দাতব্য