পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৭০৯

আরম্ভ করিয়া ইনি তাহাতে যথেষ্ট বুৎপত্তি লাভ করেন এবং কৃষ্ণনগর জজ আদালতে রিটর্শনবিসের সেরেস্তার কাজ শিখিতে আরম্ভ করেন। এই সময় গভর্ণমেণ্টের আদেশে আদালত হইতে পার্শী ভাষা উঠিয়া ষায় এবং ইংরাজি ভাষার প্রচলন হয়। কার্ত্তিকেয়চন্দ্র অতঃপর ইংরাজী শিক্ষা করেন। প্রথমে ইনি ডাক্তারী পড়িবার জন্য কলিকাতা মেডিকেল কলেজে প্রবিষ্ট হন, কিন্তু নানা কারণে তাহা ত্যাগ করিয়া কৃষ্ণনগর রাজবাটীতে খাস সেক্রেটারীর পদে নিযুক্ত হন। পরে ইনি এই রাজষ্টেটের দেওয়ানী লাভ করেন এবং তিনশত টাকা পর্য্যন্ত বেতন পান। ইনি রাজষ্টেটের উন্নতি এবং রাজপরিবারের মঙ্গল জন্য আন্তরিক চেষ্টা করেন। ইনি “ক্ষিতীশ বংশাবলী চরিত” নামক এক বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করেন। ইহাতে কৃষ্ণনগর রাজবংশের ইতিহাস সবিস্তারে লিখিত আছে।. তদ্ব্যতীত ইনি “গীতমঞ্জরী” এবং আত্মজীবনচরিত প্রণয়ন করেন। সঙ্গীতবিদ্যাতেও ইঁহার পারদর্শিত ছিল। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে ২রা আক্টোবর তারিখে ইনি দেহত্যাগ করেন। সুবিখ্যাত নাটককার ও হাস্যরসাত্মক গীতরচয়িত শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্র লাল রায় ইঁহার অন্ততম পুত্র।

গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

(স্যার) জন্ম ২৬শে জানুয়ারি, ১৮৪৪ খৃষ্টাব্দ। ইনি হেয়ার স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করিয়া প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ করেন এবং সেইখান হইতে ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে গণিতবিদ্যায় এম. এ.